পদ্মাপাড়ের অস্থির সময়ে নিজের জন্মভূমিতে চিরকালের মতো অস্তাচলে ‘মেঘে ঢাকা তারা’র কালজয়ী স্রষ্টা। প্রবাদপ্রতিম পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যের সাক্ষী থাকা রাজশাহীর মিয়াপাড়ায় পৈতৃক বাড়ি মিশে গেল মাটিতে। দেশভাগের যন্ত্রণাকে সেলুলয়েডে বন্দি করেছিলেন যিনি,গত ৬ ও ৭ আগস্ট দুদিনে তাঁর বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিযোগ, হাসিনা সরকারের (Hasina Government) পতনের পর শহরের বেশ কয়েকটি পুরনো স্থাপত্য ভাঙ্গা হয়েছে। বাদ যায়নি ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজরিত বাড়িটিও। অভিযোগের আঙ্গুল হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের (Anisur Rahman) দিকে।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করার পর সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন ঋত্বিক ঘটকরা। ১৯৮৯ সালে তাঁর পৈতৃক বাড়ির কিছুটা অংশ রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজকে লিজে দেওয়া হয়। যদিও দক্ষিণের ঘরে তখনও সেভাবে হাত পড়েনি। বছর চারেক আগে সাইকেলের গ্যারেজ তৈরির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ বাড়িতে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বাংলাদেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। কমিটি তৈরি করে পুরনো বাড়ি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসবের মাঝেই গত ৬ এবং ৭ আগস্ট বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই মন খারাপ ঋত্বিক অনুরাগীদের। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ অবশ্যই এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ (Shamim Ahmed) জানান গোটা বিষয়টি তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।










































































































































