আর জি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ খুনের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে হঠাৎ জেগে উঠলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি তিনি দাবি করেন এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্য সরকারের যে প্রশাসন ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় তদন্ত করছিল, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবার দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করেছেন, সেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। পাল্টা রাজীব গান্ধীর সময়ে সতীহাদের মতো ঘৃণ্য ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে তৃণমূল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা আর জি করের ঘটনাকে ক্রুর ও অমানবিক বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন। হাসপাতালের মতো জায়গায় পড়ুয়ারা যদি নিরাপদ না থাকেন, তবে অভিভাবকরা কোন ভরসায় সন্তানদের পড়তে পাঠাবেন, প্রশ্ন রাহুলের।
এরই পাল্টা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ রাজীব গান্ধীর সময়ের সতীদাহের প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন রাহুল গান্ধী, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নিজে অপরাধীর ফাঁসি চেয়েছেন। রাহুল গান্ধীকে তিনি মনে করিয়ে দেন ভারতের শেষ সতীদাহের ঘটনা রাজস্থানে ঘটেছিল প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সময়ে। বাংলার নারী নিরাপত্তা নিয়ে বলার আগে রাহুল গান্ধীর সেটা মনে রাখা উচিত।
তবে আর জি করের ঘটনার পরে দেশের আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী, যে আইনে ধর্ষকরা অপরাধ করতে ভয় পায় না। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন রাহুল।