হাসপাতাল থেকে উধাও! আর জি কর-কাণ্ডে ৩ ডাক্তারি পড়ুয়ার খোঁজে শুরু চিরুনি তল্লাশি

0
1

আর জি কর (R G Kar) ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে। বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে এসে মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এদিন সকালেই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তার মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। সূত্রের খবর আর জি কর হাসপাতালের দুজন হাউস স্টাফ এবং একজন ইন্টার্ন হাসপাতালের চেস্ট বিভাগে সেক্স ও ড্রাগ র‍্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাদের কুকর্মের কথা জানার পরই তরুণী চিকিৎসক জানতেই তাঁর উপর নেমে আসে আক্রমণ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ৩ জনের সঙ্গে এই অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর বিষয় নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। এছাড়া বেশ কয়েকদিন চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রদের ব্যবহার এবং অসহযোগিতায় সোদপুরের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই হতাশার কথা বাড়িতে মা-বাবার কাছেও জানিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালে ডিউটিতে যেতে তাঁর ভালো লাগছে না বলেও অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের কাছে চেস্ট বিভাগে একটি অবৈধ চক্র চলার কথা শুনেছিলাম। তার ভিত্তিতে মেয়েকে ধর্ষণ ও খুন করার ক্ষেত্রে সুপারি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ পরিবারের।

গোয়েন্দারা এখন সেই সূত্র ধরেই আর জি কর হাসপাতলে দুজন হাউস স্টাফ ও একজন ইন্টার্নের খোঁজে জোরদার নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই হাসপাতালে চার জন পড়ুয়া চিকিৎসককে চিহ্নিত করা হয়েছে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। গোয়েন্দাদের বিশ্বাস ওই পড়ুয়া চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে কোনো সূত্র মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের মতে খুনের মোটিভ ঘোরাতেই একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পরিচিত এক মহিলার বয়ান রেকর্ড করেছে।

তদন্তকারীদের মতে, এই খুনের পিছনে প্রতিশোধ স্পৃহা রয়েছে। তাই এই চক্রের সন্ধান পেতে ওই হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের একাধিক স্বাস্থ্য কর্মী সহ হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের জেরা করতে চায় চায় লালবাজার। এদিকে আরজি কর হাসপাতালে দুই চিকিৎসক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে যে খবর রয়েছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লালবাজার। পড়ুয়া চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ ঘটনার পর থেকে দুই চিকিৎসক আরজি কর হাসপাতালের গা ঢাকা দিয়েছেন। গোয়েন্দারা এর সত্যতা যাচাই করে দেখছে।