RG Kar: কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, তাও কেন মুমূর্ষু রোগী ফিরিয়ে আন্দোলন? উঠছে প্রশ্ন

0
1

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ, দ্রুত অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে ২১টি সরকারি হাসপাতাল। তালিকায় কলকাতার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতাল তো বটেই, জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে (Government Hospital) চলছে কর্মবিরতি। এর জেরে পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই কড়া অবস্থান নিয়েছেন, দোষীর ফাঁসির দাবি জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন, সেখানে এভাবে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত করে আন্দোলন কতটা যুক্তিযুক্ত? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের নির্দেশের পরেও কর্মবিরতি কেন! আন্দোলনকে ১০০ভাগ সমর্থন জানিয়েও কুণাল বলেন, কর্মবিরতি চলতে পারে না।কর্মবিরতিতে রাজ্যে সার্বিক চিকিৎসা পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) বহির্বিভাগের চিকিৎসা বিপর্যস্ত। চিকিৎসকের অভাবে জরুরি বিভাগ থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। ইতিমধ্যেই এই কর্মবিরতির জেরে ৩ রোগীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানান, রাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ২ লক্ষ ওপিডি হয়, ১ লক্ষের বেশি টেলি মেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ হাসপাতালে ইন্ডোর বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু ডাক্তারদের কর্ম বিরতির জেরে সেই পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর জেরে আতান্তরে পড়েছেন রোগী এবং তাঁদের পরিবার।

আর জি করের ঘটনা নিন্দনীয়, মর্মান্তিক, বেনজির। এই নিয়ে কোনও পক্ষের কোনও দ্বিমত নেই। স্বয়ং রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেফাতর হয়েছে। এই পরিস্থিতি তদন্ত সিবিআই-কে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর পরেও কীসের জন্য কর্মবিরতি! চিকিৎসকরা অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ পেশায় যুক্ত। যেখানে সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজেরাই চিকিৎসকরা বলেন, ঠিক সময় চিকিৎসা পেলে হয়ত পরিস্থিতি সামলে যেত। তাহলে কী ভাবে এই কর্মবিরতি এতদিন ধরে চলে? কর্মবিরতির জেরে মৃত্যুর দায় কে নেবে? এবার যদি মৃত রোগীর পরিবার ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে সামজিক সমস্যা দেখা দেবে। বাড়বে অশান্তি। এর দায় কে নেবে? উঠছে সেই প্রশ্নও। কুণাল ঘোষ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দনীয়। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। CBI-য়ের নির্দেশের পরেও কর্মবিরতি কেন! কীসের জন্য পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন চলেছে! তাঁরা কাজে যোগ দিন। তাঁদের প্রতিবাদ চলুক। দাবি নিয়ে আন্দোলন চলুক। কিন্তু রোগীদের স্বার্থ ব্যাহত করে কর্মবিরতি চলতে পারে না।