অধ্যক্ষকে প্রশাসনিক পদে ‘না’, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে দাবি আন্দোলনকারী ডাক্তারদের

0
3

সোমবারও বদল হল না আর জি কর হাসপাতালের আন্দোলনরত ডাক্তারদের দাবির। অধ্যক্ষের পদত্যাগের পরে তাঁকে অন্য কোনও প্রশাসনিক পদে না রাখার দাবি জানালেন তাঁরা। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অন্যান্য যে পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ছাত্রদের, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থানের দাবি জানালেন তাঁরা। সোমবারই নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন অধ্যক্ষ ও সুপারকে রাজ্য সরকার অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে।

আর জি কর হাসপাতালের আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রবল আন্দোলনের মুখে সোমবারই পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর পদত্যাগের দাবি স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী জানান তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা লিখিত পদত্যাগপত্র দেখতে চান। সেই সঙ্গে অধ্যক্ষ সহ এমএসভিপি, ডিন ও চেস্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে তদন্ত না শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রশাসনিক পদে রাখা যাবে না বলে দাবি জানান তাঁরা।

এর পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতেও তাঁরা অনড়। অপরাধী একাধিক, এমনটাই দাবি করে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে শহরের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ থেকে দাবি ওঠে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তাঁদের হাসপাতালে দায়িত্বে পাঠানো হলে তাঁরা তা মেনে নেবেন না।

রাজ্যের পড়ুয়া ডাক্তারদের পাশাপাশি গোটা দেশের চিকিৎসকদের সংগঠন সোমবার থেকে কর্মবিরতিতে গিয়েছেন। দিল্লি এইমসেও বন্ধ রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট পরিষেবা। ছয়টি দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে নামেন। ফর্ডার দাবি, নির্যাতিতার বিচারে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে সব হাসপাতালের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আইন প্রণয়ন করতে হবে।