বিনা ডিউটিতে ঘটনার রাতে বিহারের বাসিন্দা সঞ্জয় হাসপাতালে! কঠোরতম শাস্তি দাবি দিদির

0
1

আর জি কর হাসপাতালের পড়ুয়া ডাক্তারের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আদতে ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। বিহার থেকে বাংলায় এসে একাধিক দুষ্কৃতী মূলক ঘটনা সাম্প্রতিককালে সামনে এসেছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন সঞ্জয় রায়। ঘটনার রাতে তার হাসপাতালে ডিউটিও ছিল না। তারপরেও হাসপাতালে ঢুকে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছিল সে। আর জি করের ঘটনায় প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদনও করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীর্তিমান সঞ্জয়ের কঠোরতম শাস্তি দাবি করলেন তাঁর দিদিও।

বিহারের বাসিন্দা সঞ্জয় ও তার পরিবার কলকাতায় পেশার তাগিদে আসে। কিন্তু সেই পরিবারেরই দুই মেয়ে বাংলায় এসে পুলিশ কর্মী হিসাবে কাজ করেন। আর সেই পরিবারকে ছেড়ে নিজের মর্জিমতো জীবন কাটাতো সঞ্জয়, দাবি তার পরিবারের। অপরাধজগতে তার যাতায়াতের জন্য পরিবারও তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না। মদ্যপান থেকে মেয়েদের উত্তক্ত করা, কোনও খারাপ কাজই বাকি ছিল না সঞ্জয়ের। এই অভিযোগ করেছেন আর জি করের মহিলা চিকিৎসকরাও। শেষ পর্যন্ত খুন-ধর্ষনের মতো অপরাধ! বেপরোয়া অপরাধপ্রবণ সঞ্জয় রায়কে খুন-ধর্ষনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে ডিউটিতেও ছিলেন না সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তারপরেও তিনি হাসপাতালে ঢোকেন। তারপরের মর্মান্তিক ঘটনা সকলের জানা। কিন্তু চাঞ্চল্যকরভাবে এত বড় ঘটনা ঘটানোর পরে পুলিশ ব্যারাকে গিয়ে সে মদ্যপান করে, ঘুমায়। সকালে ঘটনা জানাজানি হয়ে চারিদিকে রটে যাওয়ার পরেও তার মধ্যে কোনও বিকৃতি দেখা যায় না। সকালেও ফের তাকে মদ্যপান করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু এতটাই অপরাধ প্রবণ সঞ্জয় রায় যে তখনও তাকে দেখে বোঝা যায়নি আগের রাতেই আর জি কর হাসপাতালে এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে এসেছে সে।

কতটা বেপরোয়া ছিলেন সঞ্জয় তা জানিয়েছেন তার পরিবারও। এই ঘটনার পরে সঞ্জয়ের দিদি তার কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেন, যদি তাঁর ভাইয়ের ফাঁসিও হয় তাহলেও যেন তার দেহ পরিবারের হাতে না দেওয়া হয়। সঞ্জয়কে ভাই বলে পরিচয় দিতেই চান না তার দিদি।