নির্যাতিতার বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, পরিবারের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

0
1

রবিবার আর জি করের নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়িতে গেলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা। এই ঘটনায় প্রাথমিক যে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশ পেয়েছিল, সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে, জানালেন এসিপি শর্মা। মৃতা পড়ুয়াকে নিজের ভাইঝির মতো দাবি করেন গোটা ঘটনায় স্বচ্ছ, সততার সঙ্গে তদন্তের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তবে পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা থাকলেও সোমবার থেকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার বার্তা দেন নির্যাতিতার পরিবার।

দমদমের কামারহাটির বাসিন্দা তরুণী বৃহস্পতিবার রাতে আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে ধর্ষিতা ও খুন হন। তারপর থেকে শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের চিকিৎসক মহলের নজরে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে দোষীর গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তেও তাঁর আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে পাশাপাশি তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশও। একদিকে তদন্ত চলছে, অন্যদিকে চলছে পুলিশের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ। আর জি করে শনিবার আন্দোলনরত পড়ুয়া ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিয়ে পড়ুয়াদের আস্থা অনেকটা ফিরে পেয়েছে পুলিশ।

রবিবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা। তিনি জানান, “তদন্তের অগ্রগতি কতটা তা ওনাদের জানানো হয়েছে। ওনাদের কী বক্তব্য ছিল তা নোট করে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে ওনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। এবং ওনারা জানিয়েছেন যে ওনাদের আমাদের উপর ভরসা আছে। একটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েছিলাম। সেটা ওনাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি নির্যাতিতার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের দাবি, “তদন্ত পুরোপুরি স্বচ্ছ। আমরা পুরো সততা ও ন্যায়ের সঙ্গে তদন্ত করছি। একজন মেয়ের প্রাণহানি হয়েছে। সে শুধু একজন মেয়ে নয়। তাকে আমার বোনের মতো, ভাইঝির মত আমি দেখি। আমরা এটার শেষ দেখে ছাড়ব।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফিরে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার পরিবার জানায়, তাঁদেরকে তদন্তের বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্ত ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উপর আস্থা রয়েছে তাঁদের। তবে সোমবার থেকে আর জি করে আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন তাঁরা।