সেমিনার হলে অলিম্পিকে নীরজের ম্যাচ দেখছিলেন মৃতা চিকিৎসক! ঘটনার রাতে আর কী ঘটেছিল…

0
2

আরজি কর (R G Kar Hospital) কাণ্ডের তদন্তে উঠে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য! গভীর রাতে যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই ওই চিকিৎসক-পড়ুয়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন আততায়ী। তারপর ধর্ষনের শিকার হন তিনি। ধর্ষককে চিনে ফেলাতেই খুন হতে হয় তাঁকে। পুলিশি জেরায় ধৃত সঞ্জয় রায় স্বীকার করেন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।

জানা যাচ্ছে, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নাইটি ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক পড়ুয়া সহ কয়েকজন ডাক্তাররা একসঙ্গেই ছিলেন। এরপর সেমিনার হলে অলিম্পিকে নীরজ চোপড়ার ফাইনাল ম্যাচ দেখার জন্য তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। রাতে ডিনার জন্য জোম্যাটোতে খাবার অর্ডার করেছিলেন নির্যাতিতা চিকিত্‍সক-ই। নীরজ চোপড়ার ম্যাচ দেখতে দেখতে ৫ জন মিলে একসঙ্গে ডিনার করেন। রাতে বাকিরা চলে গেলে ভিকটিম মহিলা চিকিত্‍সক-পড়ুয়া সেমিনার হলে যে বিছানা ছিল, সেখানেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

 

সেমিনার হলে থাকা লাল রঙের কম্বল গায়ে দিয়েই ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। রাত ৩টে পর্যন্তও তাঁকে কম্বল চাপা দিয়ে ঘুমাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন দেহ উদ্ধার হয়, তখন আর গায়ে কোনও কম্বল ছিল না। ফলে ৩টের পরই ঘটনাটি ঘটেছে। রাত আড়াইটে থেকে ৩টে নাগাদ দোতলা, তিনতলার করিডর ও চেস্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে সিসিটিভিতে সঞ্জয়কে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেমিনার হলে ঢোকার রাস্তাতেই সিসিটিভিতে দেখা যায় ধৃত সঞ্জয়কে।

৩টে পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজে, প্রায় ৪৫ মিনিট পর অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আরও দেখা যায়, ধৃত সঞ্জয় যখন সেমিনার হলে ঢোকে, তখন তাঁর কানে হেডফোন ছিল। কিন্তু সেমিনার হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিসিটিভি ফুটেজে ধৃতের কানে কোনও হেডফোন দেখতে পাওয়া যায়নি। এখন সেই হেডফোনের ছেঁড়া অংশ মেলে মৃতদেহের পাশে। সেটি চালু করতেই তা ‘কানেক্ট’ হয়ে যায় ধৃত সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে। সেই ‘কানেকশন’-এর সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে।

আরও পড়ুন:চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড়, ‘বিচার’ চাইছে টলিউডও