কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। ক্রমশ তা এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যে শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Sekh Hasina)। আপাতত ভারতেই সুরক্ষিত রয়েছেন হাসিনা। সেখানে থেকে এখন তিনি কোথায় যাবেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যালীলা যে যায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল তার পেছনে অন্য কারও হাত ছিল মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইঙ্গিত ছিল মূলত জামাতের দিকে। তবে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা বলছেন অন্য কথা।
বাংলাদেশের কোটা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দারা। ভুয়ো ‘ডিসপ্লে পিকচার’ (ডিপি) বানিয়ে, পড়ুয়া সেজে দু’মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ‘উস্কানি’ দিয়ে গিয়েছে পাক চররা। আর এদের সাহায্য করেছে জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির (আইসিএস)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরা কেউ ঢাকা, কেউ সিলেট, কেউ চট্টগ্রাম, কেউ জাহাঙ্গির আবার কেউ নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এবং লাগাতার শেখ হাসিনা (Sekh Hasina) সরকার ও ভারত বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম ১৫-১৬ জন পাক চরের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এদের মধ্যে তিন-চারজন পাকিস্তানের হলেও বাকিরা বাংলাদেশের নাগরিক।
বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে গন্ডগোল ও শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পরিকল্পনা হয় লন্ডনে। বাংলদেশের গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, সৌদি আরবে বসে আইএসআইয়ের সঙ্গে গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করেছেন বিএনপির প্রধান ও খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেনা ও আইএসআইয়ের পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনা সরকারকে উত্খাত করা ও পকিস্তানপন্থী বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো। অন্যদিকে, আইএসআইকে মদত দিয়ে বাংলাদেশে গোলমাল করার ব্যাপারে মদত দিয়েছে চিন। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা মনে করছেন জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের পেছনে আইএসআইয়ের হাত ছিল। তাদের পরিকল্পনাতেই আওয়াজ ওঠে হাসিনাকে উত্খাত করে পাকিস্তান ও চিন পন্থী কোনও দলকে ক্ষমতায় আনা। জামাত ই ইসলামির ভারত বিরোধিতাই আন্দোলনকে আরও হাসিনা বিরোধী করে তোলে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্যুতে বিতর্কিত পোস্ট, ২৫০ জনকে সতর্ক করল লালবাজার