বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরে আসুক দাবি করেও হাসিনার জন্য দরজা খুলল না ইংল্যান্ড। দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা তাই হাসিনার ফলপ্রসু হল না। গাজিয়াবাদের সেনাছাউনিতে অবতরণের পরে দিল্লিতেই থাকতে বাধ্য হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনার পরেও কোনও প্রতিক্রিয়া দিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে গোটা পরিস্থিতিতে দ্রুত বাংলাদেশে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছে বিশ্বের রাজনৈতিক শক্তিগুলি।
বাংলাদেশ ছাড়ার পরে ইংল্যান্ডে আশ্রয় চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারের পতনের পরে লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসের বাইরেও বাংলাদেশের জনতাকে উৎসব করতে দেখা যায়। ফলে কোনওভাবেই হাসিনাকে সে দেশে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই উত্তর ব্রিটেন জাতিগত সংঘর্ষে জেরবার। যদিও প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মুখপাত্র দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। দ্রুত সেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি করেন তিনি।
ভারত ছাড়তে না পারায় দিল্লির আশ্রয়েই তিনি রয়েছেন। গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অবতরণের পর সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল গিয়ে সাক্ষাৎ করেন হাসিনার সঙ্গে। তারপরেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত জানান ডোভাল। এরপরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন মোদি। যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব পিকে মিশ্র, ‘র’-এর প্রধান রবি সিন্হা।
ইতিমধ্যেই আমেরিকার তরফ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে চলা অশান্তিতে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি সেখানে মানবাধিকার ভঙ্গ ও হত্যার ঘটনার নিন্দা করেন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়। আমেরিকা প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলেও জানান মুখপাত্র।