উত্তাল পরিস্থিতি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। আইন শৃঙ্খলা ঠেকেছে তলানিতে। একদিকে ‘স্বাধীনতা’ পেয়ে উদ্বেল অসংখ্য বাংলাদেশী। ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে হিংসার পথ থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহবুদ্দিন চুপ্পুর। সেই সঙ্গে প্রাণহানি ও সম্পত্তি রক্ষায় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিলেন তিনি।
দেশের এই উত্তাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রপ্তানিপণ্য খালাস করতে গিয়ে পানামা বন্দরে আটকে পড়েছেন প্রায় ৭০০ জন ভারতীয় লরিচালক ও খালাসি। পানামা বন্দর থেকে বের হতে পারছে না মালদহ থেকে ওপারে যাওয়া প্রায় ৩৫০ ভারতীয় লরিও। ওপারে আটকে পড়া ভারতীয় পরিবহণ শ্রমিকরা মালদহ জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে ওই লরিচালক ও খালাসিদের মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত এপারের রপ্তানিকারকরা। তাঁরা বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বিএসএফের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তারা।
এদিন মালদহের মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “প্রায় সাড়ে তিনশো লরি ওপারে পণ্য খালাস করতে গিয়ে আটকে পড়েছে। প্রত্যেক লরিতে একজন করে খালাসি এবং চালক রয়েছেন। প্রায় ৭০০ জন চালক-খালাসির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। ওঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা বিএসএফের কাছে আর্জি জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন- হাসিনার দুঃশাসনের সমাপ্তি হল! পোস্ট করেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত তসলিমা