মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই বিধানসভায় বিরল সৌজন্যের ছবি! রাজ্য সঙ্গীতে গলা মেলালেন বিজেপি বিধায়করাও

0
2

বিধানসভায় বিরল সৌজন্যের ছবি! শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে ঐক্যের ছবি ধরা পড়ল। আর তার মূল সুর প্রথমেই বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে (Shobhandev Chatterjee) তৃণমূলের আনা প্রস্তাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর একটি মন্তব্য যোগ করে নিতে বলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, সেটি যোগ হওয়ার পরে আবার বিধানসভায় (Assembly) সংশোধিত প্রস্তাব পেশ করা হয়।সোমবার বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে বিধানসভায় (Assembly) প্রস্তাব আনে শাসকদল। আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই বক্তৃতা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধির বাংলা ভাগে প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। শুভেন্দু ‘অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন’ নিয়ে প্রস্তাব আনতে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেবকে অনুরোধ জানান নিজের বক্তব্যে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতাকে বলেন, “আপনারাই এই প্রস্তাব আনতে পারতেন।” শুভেন্দুর পর বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই পরিষদীমন্ত্রীকে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে শুভেন্দুর ওই বক্তব্য মূল প্রস্তাবে জুড়ে নিতে বলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় আন্দোলনে বাংলার বিরাট অবদান রয়েছে। নেতাজি গোটা দেশকে জাগিয়ে তুলেছিল। আমরা সবার জন্মদিবস পালন করি। কারণ আমরা বিভেদে বিশ্বাসী নই।

অনন্ত মহারাজের বাড়ি গিয়ে সম্প্রতি সৌজন্য বিনিময় করেন মখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ এদিন বিধানসভায় তোলে বিরোধীরা। তাঁর উত্তরে মমতা বলেন, “অনন্ত মহারাজের সঙ্গে এক কাপ চা খেতে কী অসুবিধে। আপনি ডাকলে আপনার (শুভেন্দুর উদ্দ্যেশে) বাড়িতেও যেতে পারি। শুধু অন্ধ বিরোধিতা করবেন না। আসুন আমরা অখন্ড বাংলাকে রক্ষা করি।“

অধিবেশনের শেষে যখন চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গাইতে শুরু করেন তখন তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিধায়করাও গলা মেলান। বাদল অধিবেশনের শেষদিনে এই প্রথমবার রাজ্য সঙ্গীত গাইলেন বিজেপি বিধায়করা।