ভূমিধসের প্রথম “অ্যালার্ট” দেওয়া মহিলারও মৃত্যু

0
1

মেপ্পাড়ির ওয়েনাড় ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ফোন বেজে উঠল। গত, মঙ্গলবার। রাত তখন দেড়টা।ফোনের অপর প্রান্তে এই প্রতিষ্ঠানেরই আধিকারিক নীতু জোজো। আতঙ্কিত স্বরে কোনওরকমে শুধু বললেন, “খুবই বিপদে রয়েছি। চুরালমালায় ভূমিধস হয়েছে। বাড়িতে জল ঢুকছে। আমাদের উদ্ধার করুন।” এটাই ফোনটাই ছিল ভূমিধসের (Landslide) প্রথম অ্যালার্ট।

ফোন পাওয়ার পর এক মুহূর্ত দেরি না করে সংস্থার
কর্মীরা খবর দেন দমকল ও পুলিশকে। জরুরিকালীন অবস্থায় উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে তাঁরা পৌঁছনোর আগেই চুরালমালায় দ্বিতীয় ভূমিধস নেমেছে। ওদিকে নীতুর বাড়িতে আরও কিছু লোক জড়ো হয়েছেন। পাঁচ বছরের সন্তান ও বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্বামী বেরিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। কিন্তু নীতু কোথায়? অবশেষে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে ৭দিন। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৬১ জনের। বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে চেলিয়ার নদীকে। ওয়েনাড়, মলপ্পুরম, কোঝিকোড় জেলায় ১৬৯ কিলোমিটার বিস্তৃত এই নদী ছিল এলাকার লাইফ-লাইন। এখন এই নদীই দুঃখের জলপথে পরিণত হয়েছে। দুর্যোগে হারিয়ে যাওয়া একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে এই নদী থেকেই।

আরও পড়ুন: দিল্লির কোচিং সেন্টারে তিন পড়ুয়ার ম.র্মান্তিক মৃ.ত্যুতে কড়া পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের