আর এবড়ো খেবড়ো, ঢেউ খেলানো নয়। উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত ইএম বাইপাসের রাস্তা হবে ঝকঝকে মসৃণ। কেএমডিএ-এর হাত থেকে কলকাতা পুরসভা নিয়েছে ইএম বাইপাস। শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শীঘ্রই মেকানিকাল ম্যাস্টিফের রাস্তা দেখা যাবে ইএম বাইপাসে।
কলকাতা পুরসভার সড়ক দফতর সূত্রে খবর, উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাসের দু’দিকের ৩৪ কিলোমিটার রাস্তা গোটাটাই সাজবে মেকানিকাল ম্যাস্টিফে। এই মুহূর্তে চিংড়িঘাটা, রুবির মোড়, অজয় নগর, মুকুন্দপুর, সায়েন্স সিটি সহ বাইপাসের একাধিক জায়গায় ছোট বড় গর্ত। যার জেরে লেগেই আছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে চিংড়িহাটা মোড়ের একের পর দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষায় এ সমস্ত গর্তে জল জমে বুঝতে পারেন না গাড়ির চালক। উল্টে যাচ্ছে ছোট চাকার বাইক, স্কুটার। এতদিন চেয়েও গর্ত সারাতে পারছিল না পুরসভা। আগে এই সমস্ত গর্তে পিচ গরম করে বুজিয়ে দেওয়া যেতো। কিন্তু এখন জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে প্রকাশ্যে পিচ গলানো বারণ। ফলে, ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট ব্যবহার করা যাচ্ছে না রাস্তা সাড়াইয়ে। শুধুমাত্র বিটুমিন দিয়ে রাস্তা সাড়াতে হচ্ছে। এদিকে বর্ষায় রাস্তা কয়েক ঘণ্টা জলে ডুবে থাকলেই এই বিটুমিনের তাপ্পি ভেঙেচুরে যাচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম শনিবার কলকাতা পুরসভায় জানিয়েছেন, এবার মেকানিকাল ম্যাস্টিফ দিয়ে তৈরি হবে ইএম বাইপাস।
সড়ক বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, এখন রাস্তার ধারে আগুন জ্বালানো বারণ। সে কারণে তরল ম্যাস্টিফ অ্যাসফল্ট, প্ল্যান্ট থেকে থার্মো কন্টেইনারে করে এনে ইএম বাইপাসে ঢালা হবে। এটাকেই বলা হচ্ছে মেকানিকাল ম্যাস্টিফ। তাতে দূষণ যেমন হবে না, তেমনই রাস্তা হবে মসৃণ, পোক্ত। এদিকে টানা বৃষ্টিতে বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তা জলের তলায়। ফিরহাদ হাকিম এদিন এর জন্য দায়ী করেছেন অসাধু প্রোমোটারদের। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরাট করা হয়েছে। এই জল ওইসব জলাশয়ে গিয়ে পড়ত। জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় জল নামছে না।’’ মেয়র জানিয়েছেন, যখন ইএম বাইপাস তৈরি হয়েছিল সেই সময় ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরি হয়নি। এখন কলকাতা পুরসভা ইএম বাইপাস হাতে আসার পর নতুন পরিকল্পনা করছে। ইএমবাইপাসে টানেল তৈরি করা হবে। ড্রেনেজ সিস্টেম হবে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব পুরসভাকে বৈঠক ডাকলেন ফিরহাদ