সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে (Quota System) সাময়িক লাগাম টানা হলেও অশান্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh)। ইতিমধ্যে অশান্তি থামাতে ছাত্রদের সহনশীল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina)। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসছে না বলেই খবর। এদিকে শনিবার কুমিল্লা (Kumilla) শহরে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় কমপক্ষে পাঁচ জন আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হয়েছেন। শাসকদল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে ফের রক্তাক্ত হয়ে উঠল পড়শি দেশ।
গুরুতর জখম পড়ুয়াদের ইতিমধ্যে স্থানীয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁদের। কিন্তু গুলি লেগেই পড়ুয়াদের এমন হাল কী না তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে যুবলীগের হামলার পরপরই আন্দোলনকারীরা এদিন পাল্টা কুমিল্লার চান্দিনায় ভূমি দফতরের উপজেলা সহকারী কমিশনারের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার রাতেই গণভবনে আওয়ামী লিগের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সেখানেই ছাত্রদের প্রতি সহনশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার কুমিল্লায় যুবলীগের হামলার ঘটনায় আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ল বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
তবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় ঘোষণা করলেও এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির হাত থেকে কবে মিলবে মুক্তি সেদিকে নজর থাকবে।