টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বোচ্চ একটি ছবি। নিম্নচাপের জেরে আগামী রবিবার পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। ইতিমধ্যেই একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, হুগলি- সহ রাজ্যের জেলায় জেলায় জমা জলে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার ব্যারেজের প্রতিদিনের জল ছাড়ার রিপোর্ট তলব করল নবান্ন (Nabanna)।
এদিন নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে জমা জলে আটকে থাকা মানুষের নিরাপদে অন্যত্র সরানোর জন্য পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন অন্ডাল বিমানবন্দর। দুর্যোগে হায়দরাবাদ, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুগামী বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। বাঁকুড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পূর্ব বর্ধমানে একটানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন ভাতারের কুমারুন গ্রাম। একাধিক রাস্তা এবং গবাদি পশুর বাসস্থান ভেসে গেছে বলে খবর। পালিতপুরে জলমগ্ন হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেল রেলের সাবওয়ে।জলে ভাসছে বীরভূমও। শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া, কঙ্কালীতলা থেকে শুরু করে সিউড়ি, ইলামবাজার সর্বত্র জলমগ্ন এলাকা। একই ছবি হুগলিতে। জলবন্দি ডানকুনির একাধিক ওয়ার্ড। জল ঢুকছে ঘরের ভেতরেও। ব্যান্ডেল, চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গা এখন জলের নীচে। ব্যান্ডেল সাবওয়ে, ক্যান্টিন বাজার, লোকোপাড়া, কোদালিয়া, নলডাঙা, চুঁচুড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ড, লিচু বাগান, গ্রিন পার্ক, মিলিটারি কলোনি জলমগ্ন। জল জমেছে চুঁচুড়া স্টেশন, পীরতলা, নবাববাগান, পেয়ারাবাগান-সহ একাধিক নিচু এলাকায়।টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল শিল্পাঞ্চলের একাংশ। গাড়ুই ও নুনিয়া নদীতে উপচে পড়ছে জল। নদীর তীরবর্তী স্থানে ঘরবাড়িগুলিতে ঢুকে পড়েছে সেই জল। বৃষ্টি নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বাংলায়।