দেশের মানুষ তথা সাংসদদের অন্ধকারে রেখে তথ্য সম্প্রচার বিল ছড়িয়ে দিচ্ছে তথ্য সম্প্রচারের ব্যবসায়ীদের কাছে। নতুন বিল নিয়ে প্রশ্ন করলে এবার বিরোধী সাংসদদেরও এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে না, মন্ত্রকের প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরে কেন্দ্রের মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করলেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। সেই সঙ্গে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিরোধী তকমা পাওয়া কন্টেন্ট ক্রিয়াটারদের উপর বেছে বেছে আক্রমণ চালানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।


কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে সাংসদ জহর সরকার জানতে চেয়েছিলেন তথ্য় সম্প্রচার বিলে পরিবর্তন আনা হচ্ছে কিনা। যদি পরিবর্তন আনা হয় তবে ওটিটি ও ডিজিটাল মিডিয়াকে সেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে কি, বা তাঁদের উপরও ফৌজদারি আইন কার্যকর হবে কিনা, জানতে চান তৃণমূল সাংসদ। জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান জানান, ১৯৯৫ সালের তথ্য ও সম্প্রচার আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

সেখানেই তিনি আরও দাবি করেন সহযোগী সংস্থা ও এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য পেশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসেই সেই বিল এদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। তারপরেও বিলের বিস্তারিত একজন জনপ্রতিনিধি জানতে চাইলে তথ্য প্রকাশে সত্য চাপার নজির দেখালো বিজেপি সরকার। তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, “এতে বাকি সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে – অথচ কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এরকম কঠোর আইন নেই।” সেই সঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন কুণাল কামরা, রাভিশ কুমার, ধ্রুব রাঠির মত কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের কণ্ঠরোধ করতে যাবতীয় পন্থা নেওয়া হবে এই বিলে।










































































































































