কেরলে ভূমিধস নিয়ে পিনারাই বিজয়ন সরকারকে তোপ দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওয়ানড়ের ভূমিধসে বহু মানুষের মৃত্যুতে কেরল সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আগাম একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেরল সরকার পদক্ষেপ করেনি। এমনকি দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যায়নি। যে কারণেই এত মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, গত ২৩ জুলাই অর্থাৎ দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেরল সরকারকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। তার পর ২৪ এবং ২৫ জুলাই আরও দুটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। গত ২৬ জুলাই আরও একবার প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকী এনডিআরএফের ৯টি দলও পাঠানো হয়েছিল কেরলে।
ভূমিধসের পূর্বাভাস-বিতর্কে এ বার ‘মুখ খুলল’ জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা জিএসআই। সংস্থার তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় ধস থেকে প্রাণহানি বাঁচাতে বছর কয়েক আগে যে বিশেষ সতর্কবার্তা চালু করা হয়েছিল, তা এখনও পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। এখনও দেশের আমজনতাকে নিখুঁত ভাবে ভূমিধসের পূর্বাভাস দেওয়ার পদ্ধতি চালু করতে চার-পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তরফে।
মঙ্গলবার থেকে কেরলের ওয়ানাডের মেপ্পাদির কাছে পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস দেখা যায়। ভূমিধসে ৩০০ জনের বেশির মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর। ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ২৮০ জনেরও বেশি মানুষকে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাধিক সংস্থা এবং সেনাবাহিনী লাগাতার উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.





























































































































