কেরলের পর কেদারনাথ! লাগাতার বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধসে মৃত ২, আটকে শয়ে শয়ে পুন্যার্থী

0
3

ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত কেদারনাথ‌ (kedarnath)! বুধবার থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত তছনছ অবস্থা উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। একদিকে যখন কেরলের ওয়েনাড়ে (Waynad) টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের জেরে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে তিনশোর দোড়গোড়ায় পৌছে গিয়েছে, এমন আবহে দেশবাসীর চিন্তা বাড়াচ্ছে কেদারনাথ। সূত্রের খবর, লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত ধুয়ে সাফ ৩০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা। ধস নেমেছে পাহাড়েও। যার জেরে প্রায় ২০০-র কাছাকাছি পর্যটক কেদারনাথে আটকে পড়েছেন বলেই খবর। তবে ভয় ধরাচ্ছে মন্দাকিনী নদীর জলস্তর। লাগাতার বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হচ্ছে পরিস্থিতি। আপাতত কেদারনাথ মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছে। খালি করে দেওয়া হয়েছে একাধিক জায়গা।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মনে করা হচ্ছে আনুমানিক ১৬০ জন পুণ্যার্থী কেদারনাথের পথে আটকে থাকতে পারেন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে যারা কেদারনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে প্রথমে উত্তরাখণ্ডের তেহরিতে ধসে যায় একটি হোটেল। যার জেরে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। নিখোঁজ আরও একজন। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যে জোর তল্লাশি চলছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেদারনাথেও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় বলে খবর।

বুধবার বৃষ্টি নামতেই প্রশাসনের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। ২০১৩ সালে কেদারনাথের বিপর্যয় এমন দূর্যোগের কারণেই হয়েছিল। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যে ভিম্বলির কাছে পুণ্যার্থীরা আটকে রয়েছেন। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরাতে তৎপর প্রশাসন। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যে ভীম বালির কাছে ব্যাপক ধসের কারণে কেদারনাথ যাওয়ার পথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেকারণেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই রুট। তবে কেদারনাথে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশেও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, সিমলার রামপুর এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।