রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন শিল্পকে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। আগামী মাসে কলকাতায় এরাজ্যে উৎপাদিত ফল-ফুল, সবজি নিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে আগামী ৯ আগস্ট থেকে ১১ অগস্ট পর্যন্ত নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই ফুড অ্যান্ড ফ্রুট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হবে বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গেছে। রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরিই এই উৎসবের লক্ষ্য। এই ধরনের কারখানা তৈরির বিষয়ে সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য তিনদিনের উৎসবের সঙ্গে দু’দিনের শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন শিল্পের সম্ভাবনার দিকগুলি তুলে ধরতে প্রদর্শনীরও আযোজন করা হবে। যেখানে ফল-ফুল, সবজি, ভেষজ দ্রব্যের পাশাপাশি এই সব জিনিস সংরক্ষণের উপায়, রপ্তানির উপযোগী প্যাকেজিং ব্যবস্থাকেও তুলে ধরা হবে।
প্রসঙ্গত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মোয়া, উত্তরবঙ্গের কালো নুনিয়া চালও জিআই পেয়েছে। ওড়িশাকে টপকে জিআই আদায় করে নিয়েছে বাংলার রসগোল্লা। এবার বারুইপুরের পেয়ারার পালা। এবার বাংলার ভিত্তিকে সামনে রেখে লগ্নির আহ্বান।খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্প কেন্দ্র বাংলার বুকে অনেক বড় মাপের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে। কেননা, বাংলার আম, জামরুল, লিচু, পেয়ারা, কলা খুবই সুস্বাদু। বাংলা থেকে প্রতি বছর এইসব ফল দেশের অনান্য রাজ্যের বাজারে তো যায়ই সেই সঙ্গে বিদেশের বাজারেও প্রতি বছরে রফতানি হয়। সেই রফতানির পরিমাণও আস্তে আস্তে বাড়ছে। আবার পাঁশকুড়া, বাগনান, রানাঘাট এলাকার ফুলচাষের খ্যাতি জগৎজোড়া। দেশ-বিদেশে তা রফতানি হয়। পাশাপাশি বাংলার সবজি, চা ও মধুরও ভালো দাম মেলে বিদেশের বাজারে। কিন্তু এই সব ফল, সবজি, চা, ফুলের ওপর বাংলার বুকে শিল্প সেভাবে গড়ে ওঠেনি। মুখ্যমন্ত্রী সেই দিকেই এখন সব থেকে বেশি নজর দিতে চান। সেক্ষেত্রে এই ধরনের শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বাণের জন্যই এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে যাতে সেই সব শিল্প গড়ে উঠে বাংলায় কর্মসংস্থানের দরজাটাও খুলে যায়।
আরও পড়ুন- বাংলার কথা বলতেই রাজ্যসভায় বন্ধ করে দেওয়া হল দোলার মাইক! ক্ষোভ প্রকাশ তৃণমূলের