দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র সরকারের স্বৈরাচারের শিকার হয়ে বন্দি থাকতে হচ্ছে জেলে। বারবার বিনা প্রমাণে তাঁরা জামিনের বিরোধিতা করে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অন্যদিকে জেলের ভিতরে শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে আপ প্রধান কেজরিওয়ালের। প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে আপ। I.N.D.I.A. জোটের অন্যতম শরিক দল আপের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নেয় জোট শরিক সব দল।
ইডি-র গ্রেফতারির বিরোধিতায় জামিন পেলেও সিবিআই হেফাজতে থাকা কেজরিওয়ালের জামিন আটকাতে সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তাতে কোনও স্পষ্ট বা নির্দিষ্ট প্রমাণ ও অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তারপরেও প্রতিবার কোনও না কোনও আদালতে মামলা ওঠার আগে কোনও উপায়ে জামিনে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময়ও কেজরিওয়ালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের স্বৈরাচারের বিরোধিতায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন।
প্রতিবাদে মঙ্গলবার যন্তরমন্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী জোটের সাংসদরা। যোগ দেন তৃণমূলের তিন সাংসদের প্রতিনিধিদল। লোকসভা সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সাগরিকা ঘোষ যোগ দেন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। সাগরিকা জানান, তৃণমূল আপের সঙ্গে ছিল, আছে, থাকবে। তৃণমূলের সঙ্গে আপের সম্পর্ক শুধু রাজনীতির সম্পর্ক না, বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আফশোসের কথা দিল্লি দেশের রাজধানী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে, কোনও প্রমাণ ছাড়া, কোনও বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়া মাসের পর মাস জেলে রেখেছে। দিল্লির সমস্যা নিয়ে কেন্দ্র আপের উপর দোষ চাপাচ্ছে, যেখানে কেন্দ্র সরকারই তাদের হাত বেঁধে রেখেছে।