একটি মাত্র বগি নিয়ে ছুটে গেল ইঞ্জিন। বাকি গোটা ট্রেন পড়ে রইল ট্র্যাকে। বিহারের সমস্তিপুরের কাছে চালকের তৎপরতায় বিরাট দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। রেলের দাবি, কাপলিং আচমকা ভেঙে যাওয়ার দুর্ঘটনা ঘটে। তবে চালক বুঝতে না পারলে পড়ে থাকা গোটা ট্রেনটি আরও বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত।


সোমবার সকালে বিহারের দ্বারভাঙা থেকে রওনা দেয় বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। সমস্তিপুরের ক্ষুদিরাম বোস পুশা স্টেশন পার করার পরে আচমকাই বিরাট ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। একইভাবে ঝাঁকুনি অনুভব করেন ট্রেনের চালকও। সঙ্গে সঙ্গে বিপদ বুঝে তিনি এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। ইঞ্জিন সহ একটি বগি কয়েকশো মিটার দূরে গিয়ে থেমে যায়। তিনি নিকটবর্তী স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুর্ঘটনার খবর জানান। রেল দফতর থেকে ওই সেকশনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

যে বগিগুলি ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তার যাত্রীরা আতঙ্কের সঙ্গে ট্রেন থেকে নেমে আসেন। সেই সময় পিছন থেকে কোনও ট্রেন চলে এলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। তবে সম্পর্ক ক্রান্তির চালকের তৎপরতায় সেরকম কিছু ঘটেনি সোমবার। ঘটনাস্থলে রেলের কর্মীরা ট্রেনটিকে জোড়ার কাজে আসলে যাত্রীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তবে রেলের দাবি, কামরা জোড়ার কাপলিং ভেঙে গিয়েছিল। এই ঘটনা রেলের রক্ষণা বেক্ষনের উপর ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।










































































































































