জোট শরিকদের হাত ধরে তৃতীয়বারের জন্য টেনেটুনে সরকার গঠন করেছে বিজেপি (BJP)। ফের একবার দেশের মসনদে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু সরকার গঠনের পর থেকেই বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নবাণে রীতিমতো জর্জরিত মোদি সরকার। পাশাপাশি সরকার গঠনের পর থেকেই নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে মুখ পুড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। এবার সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) দেশের ১৫ রাজ্যের মোট ৭৯ কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিল ভোট ফর ডেমোক্র্যাসি (Vote For Democracy) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটি সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে নজর রাখলেই রীতিমতো চোখ কপালে উঠছে বিরোধীদের। রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, নজিরবিহীনভাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রাথমিক ভোট গণনা ও চূড়ান্ত ভোট গণনা অঙ্কের মধ্যে ভোটের ফারাক দেখা দিয়েছে কমপক্ষে ৫ কোটি ভোটের। আর সেই ভোটই রীতিমতো ফারাক গড়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে ওই ৭৯ কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফলে। এই ৭৯ কেন্দ্রের মধ্যে ওড়িশার ১৮, মহারাষ্ট্রের ১১, পশ্চিমবঙ্গের ১০, অন্ধ্রপ্রদেশের ৭, কর্নাটকের ৬, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের ৫ কেন্দ্র, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার ৩ টি করে কেন্দ্র, অসমের ২টি কেন্দ্র, অরুণাচল প্রদেশ, গুজরাট ও কেরলের একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সব কেন্দ্রে যারা জিতেছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই এনডিএ প্রার্থী।

ভোট ফর ডেমোক্র্যাসি নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরও জানিয়েছে, ওই সব কেন্দ্রে প্রার্থীরা যে স্বল্প ভোটে জিতেছেন, বাড়তি ভোটের অঙ্ক তার থেকে অনেকাংশে বেশি। আর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, এই রিপোর্ট যদি আসলেই সত্যি হয় তাহলে ধরে নেওয়াই যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট বেশি ব্যবধানে জিততেই পারত। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে গাজোয়ারি করে অর্থাৎ ভোটে জিততেই সাত দফায় নির্বাচন করিয়েছে মোদি সরকার। নির্বাচনে ঠিক কোথায় কত ভোট পড়েছে সেই পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এমন আবহে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, রিপোর্টটিতে যদি কোনও ভুল থাকে তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট করা উচিত। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।



রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভোটের দিনগুলিতে রাত ৮টা নাগাদ ভোটদান সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন যে তথ্য সামনে এনেছে, তার সঙ্গে চূড়ান্ত ভোটদানের পরিসংখ্যানের ফারাক প্রায় পাঁচ কোটির কাছাকাছি। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, আগের নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে, ভোটের দিন সন্ধের পর কমিশন ভোটদানের যে শতকরা হিসাব পেশ করতো, তার থেকে প্রায় এক শতাংশ ভোট বেড়ে যেত চূড়ান্ত ভোটদানের হিসাবে। তবে চব্বিশের লোকসভা ভোটে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। সাতটি পর্বে এই ফারাক ৩.২ শতাংশ থেকে ৬.৩২ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশে এই হিসাব ১২.৫৪ শতাংশ, ওড়িশায় ১২.৪৮ শতাংশ।











































































































































