নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ, প্রতিবাদে সরব এমকে স্ট্যালিন

0
1

নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মাইক বন্ধ করে দেওয়া বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার সামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপমানের প্রতিবাদে সরব হলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন। সেই সঙ্গে বিজেপির আমলে সহকারী যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়ে তীব্র ধীক্কার জানান তিনি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অপমানের নিন্দা করা হয়েছে।

শুক্রবারই নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যের ও বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্যগুলির বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে শুরু করলে পাঁচ মিনিট পরে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বক্তব্যও শোনার ধৈর্য বা ভদ্রতা দেখায়নি কেন্দ্র সরকার। প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের প্রশ্ন, “এটাই কী সহকারী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো? এরকম আচরণ কী প্রাপ্য একজন মুখ্যমন্ত্রীর?”

সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বুঝতে হবে বিরোধী দলগুলিও গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাঁদের শত্রুর মত দেখা বা তাঁদের কণ্ঠরোধ করা উচিত নয়। সহকারি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আলোচনা এবং সকলের বক্তব্যের প্রতি সম্মানের মধ্যে দিয়েই রক্ষা করা সম্ভব।”

কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা এই বৈঠক বয়কট করেছিলেন। কংগ্রেস সাংসদ রাজীব শুক্লা জানান, “একজন মুখ্যমন্ত্রী কথা বলার সুযোগ না দেওয়ার একেবারেই ভুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা একেবারেই ঠিক হয়নি।” পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রবীন নেতা হরিশ রাওয়াত দাবি করেন এই রকম আশঙ্কা থেকেই তাঁরা এই বৈঠক বয়কট করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, “বাজেটে মাত্র দুটি রাজ্যকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। স্পষ্টতই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা মুখ বন্ধ রাখবে। বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা প্রতিবাদ জানাতে পারেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা দেখে মনে হচ্ছে মিটিংয়ে না যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।”