জাতীয় কমিশনগুলিতে চেয়ারম্যান নেই! বিজেপির ভাঁওতা প্রতিশ্রুতির পর্দাফাঁস কীর্তির

0
3

সবকা সাথ সবকা বিকাশের ঢেঁড়া পেটানো বিজেপি তপশিলি জাতি, উপজাতিকে ঠিক কতটা বঞ্চনায় রেখেছে সংসদে তার খতিয়ান তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদে দাঁড়িয়ে জাতীয় কমিশনগুলির চেয়ারম্যানের শূন্য পদের উদাহরণ তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ। দেশের সংবিধানকে অমান্য করেই জাতীয় কমিশনগুলির পদ ফাঁকা রাখার মধ্যে দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করছে, যাঁরা তাঁদের পাশে বিজেপি শুধু তাঁদের বিকাশ করবে, দাবি তৃণমূল সাংসদের।

বুধবার সংসদের অধিবেশনের জিরো আওয়ারে বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ তুলে ধরেন, অনেক সংবিধানিক পদ বিজেপির আমলে খালি পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে এমন অনেক পদ রয়েছে, যা এমন মানুষদের জন্য তৈরি যাঁদের সমাজে চলার জন্য বাস্তবেই সংবিধানের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে গুরত্বপূর্ণ চারটি কমিশনের নাম উল্লেখ করেন সাংসদ, যেগুলি হল জাতীয় তপশিলি জাতি কমিশন, জাতীয় তপশিলি উপজাতি কমিশন, জাতীয় পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কমিশন, জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন। এই কমিশনগুলির চেয়ারম্যানের পদই শূন্য কেন, প্রশ্ন তোলেন কীর্তি আজাদ।

সেই সঙ্গে সংসদে তিনি দাবি করেন, যে দল সবকা সাথ সবকা বিকাশ দাবি করে, তাঁদেরই সদস্য বলেন যাঁরা ওঁনাদের সঙ্গে ওঁনারা তাঁদের সঙ্গে। চারশো আসন পার হলে সংবিধান বদলে দেওয়ার ধ্বজা ওড়ানো বিজেপি এই পিছিয়ে পড়া দেশের মানুষদের উপরই পরাজয়ের বদলা নিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচনের আগে তপশিলি জাতি, উপজাতির উন্নয়নের ঢেঁড়া পেটানো বিজেপি কেন এভাবে তাঁদের জন্য সংবিধান স্বীকৃত কমিশনের পদ খালি রেখেছেন, জবাব দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।

অন্যদিকে একইভাবে বঞ্চনার বিরোধিতায় সরব হন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার। সংসদে তিনি উল্লেখ করেন, রায়দীঘি বিধানসভার জয়নগর থেকে রায়দীঘি পর্যন্ত রেলপথের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যখন তিনি দেশের রেলমন্ত্রী ছিলেন। এই পথ জুড়ে গেলে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের সঙ্গে অনেক মসৃণ হয়ে যেত কয়েক লক্ষ মানুষের যোগাযোগ। তবে বিজেপির জমানায় এই এলাকায় রেলপথ নিয়ে নতুন কোনও ভাবনাচিন্তা তো দূরের কথা, পুরোনো প্রকল্পও বাস্তবায়িত হয়নি। এই তথ্য তুলে ধরে রেলের এই কাজ দ্রুত শেষ করা দাবি করেন তিনি।