NTA পুনর্গঠনের জন্য উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি! সুপ্রিম রায়ের পর নিটের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

0
2

২০২৪ সালের নিট (NEET) পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) নির্দেশের পরই দায় এড়াতে এবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) পুনর্গঠনের কথা শোনা গেল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan) মুখে। তিনি এ-ও জানান, এনটিএ পুনর্গঠনের জন্য উচ্চ-পর্যায়ের কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্র। নিটের প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই আবহে ২০২৪-এর নিট-ইউজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০২৪ সালের নিট-ইউজি পুরোপুরি বাতিলের পক্ষে নয় সুপ্রিম কোর্ট।

মঙ্গলবার সুপ্রিম রায়ের পর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র বলেন, আমি দেশের তরুণ এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, অনিয়ম যারা করেছে এমন কোনও ব্যক্তিই রেহাই পাবেন না। সকলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। নিট-মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে ধর্মেন্দ্রর সংযোজন, আগামী দু’দিনের মধ্যে এনটিএ নিট-ইউজির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পরীক্ষার মেধাতালিকাও স‌ংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী‌।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে ধর্মেন্দ্র বলেন, আমরা আদালতকে জানিয়েছি আমাদের সরকার স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত পরীক্ষা ব্যবস্থার আয়োজন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সেকারণেই এনটিএ-কে সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠনের কথা ভাবা হয়েছে। সেই কারণে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। ধর্মেন্দ্র আরও জানান, কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে তা পর্যালোচনা করা হবে। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নিট মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রেকর্ডে থাকা নথিগুলি প্রশ্নপত্রের পদ্ধতিগত ফাঁসের ইঙ্গিত দেয় না। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা পরিচালনায় সামগ্রিকভাবে পদ্ধতিগত লঙ্ঘন হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাওয়া নথির উপর ভিত্তি করে তা প্রমাণিত হচ্ছে না।

এদিকে নিটে প্রশ্নফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। সোমবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন বিরোধীরা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় বিরোধীরা।