পুজো কমিটিগুলির প্রত্যাশা পূরণ। গতবারের তুলনায় দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) সরকারি অনুদান বাড়ল। ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ৮৫হাজার টাকা। মঙ্গলবার, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) পুলিশ-প্রশাসন, পুজো কমিটি ও সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সামনের বছরের অনুদানও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, আগামী বছর ১লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ফায়ার লাইসেন্স-সহ অন্যান্য ফি মকুব করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলেও ছাড় বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এবার পুজো কার্নিভাল ১৫ অক্টোবর।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেটেও বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে। তাও তার মধ্যে থেকে যথা সাধ্য চেষ্টা করে পুজো কমিটিগুলির অনুদান বৃদ্ধি করা হয়েছে। মমতা জানান, ৪৩ হাজারের বেশি বারোয়ারি হচ্ছে। এর মধ্যে ২৪৭৯টি মহিলা পরিচালিত পুজো। কলকাতা পুলিশের অধীন ২৭৯৩টি পুজো হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন-ক্লাবগুলির মধ্যে সমন্বয় রেখে পুজো পরিচালনার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজোয় পুলিশের ২৪ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি স্টেট কন্ট্রোল রুম, জেলা কন্ট্রোল রুম এমনকী পুজো কমিটির কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেন মমতা। তিনি জানান, মণ্ডপের বাইরে পাব্লিক অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেম রাখতে হবে। ওয়ান উইন্ডো অনলাইন সিস্টেম চালু রাখতে হবে।
একই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এখানে সুজিত বোস আছে। ওর শ্রীভূমির পুজোর জন্য এয়ারপোর্ট যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে অবস্থা হয়। কোনও পুজোর জন্য যেন সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়, পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা না হয়, সেদিন কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বছর ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে। কোভিডকালে এক ধাক্কায় অনুদানের অঙ্ক দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান বাড়ে। গত বছর ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান পায় পুজো কমিটিগুলি। সেই সঙ্গে মেলে বিদ্যুৎ বিলে ৬৬.৬৬ শতাংশ ছাড়। এবার সেই ছাড়ও বাড়ানো হল।
দুর্গাপুজো শেষের পরে বিসর্জনের কার্নিভালও চালু করেছেন মমতা। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চালু হয়েছে রেডরোডের বর্ণাঢ্য কার্নিভাল। এবার বিসর্জনের কার্নিভাল হবে ১৫ অক্টোবর। কারণ ১৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো। তার আগের দিন হবে কার্নিভাল।