আকাশে বাতাসে আগমনীর সুর এখনও স্পষ্ট নয়, তবু পুজো ঘিরে প্রেমিক মনের উন্মাদনা শুরু। এরকম এক দুর্গাপুজো মরশুমে প্রেম জীবনের সূচনা ঘটিয়েছিলেন যিশু সেনগুপ্ত (Jishu Sengupta) ও নীলাঞ্জনা ভৌমিক। শারদোৎসবেই শুরু তাঁদের প্রেমের কাহিনী। পুজো পরিক্রমার বিচারক হিসাবে প্রথম কাছাকাছি আসা, দুর্গাষ্টমীর সেই দুপুরই বদলে দিয়েছিল টলিউডের তারকা জুটি যিশু-নীলাঞ্জনার (Jishu – Nilanjana) জীবন! কেরিয়ারের একদম গোড়ায় বিস্তর স্ট্রাগলের মাঝে অভিনেতার জীবনে আশার আলো হয়ে নীলাঞ্জনার এন্ট্রি। এরপর চুটিয়ে প্রেম। ২০০৪ সাথে হাতে হাত রেখে, সাতপাক ঘুরে সাত জন্মের শপথ নেওয়া। ভৌমিক পদবী ছেড়ে মিসেস সেনগুপ্ত হন অঞ্জনা কন্যা। কুড়ি বছর ধরে সুখে-দুখে একে অন্যের সঙ্গে থাকা ‘হ্যাপি কাপল’ এবার আলাদা পথে! জল্পনার জাল ছড়িয়ে পড়েছে টলিউডে।
যিশু-নীলাঞ্জনার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ এখন ভাঙ্গনের দোরগোড়ায়। বিয়ের পর নিজের কেরিয়ারকে জলাঞ্জলি দিয়ে সংসারী নীলাঞ্জনা এক সময় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভাল-মন্দ যা-ই আসুক, আমরা হাত ছাড়ব না’। কিন্তু সে কথা রাখলেন না দুজনের কেউই। টলিউডে জমি শক্ত করার পর দীর্ঘ সময় ধরে বলিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার নিয়ে যিশু। সংসার থেকে প্রোডাকশন হাউস -সবটা একা হাতেই সামলে ছিলেন অঞ্জনা কন্যা। আর্থিক দিক থেকে সব রকম নিরাপত্তা যিশু পেয়েছিলেন নীলাঞ্জনার হাত ধরে। একা হাতে দুই কন্যাকে মানুষ করা, অসুস্থ মায়ের নিরন্তর সেবা থেকে যিশুকে আজ সর্বভারতীয় অভিনেতা হতে প্রেরণা দেওয়া সবটার কৃতিত্ব নীলাঞ্জনার। সেভাবে নায়িকা হবার ফর্মুলায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেননি নীলাঞ্জনা। তবে অভিনেতা যিশুকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম কান্ডারী যদি হয়ে থাকেন ঋতুপর্ণ ঘোষ তাহলে আরেকজন অবশ্যই নীলাঞ্জনা। কিন্তু গল্পটা হঠাৎ করে বদলে গেল। চারিদিকে গুঞ্জন, অন্য নারীতে আসক্ত যিশু? এরপরই বদলে গেল সবটা। নিজের নামের থেকে স্বামীর পদবী মুছে ফেললেন অভিনেত্রী। সপ্তাহ তিনেক আগেও বড় মেয়ে সারার গ্র্যাজুয়েশনের অনুষ্ঠানেও পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল দুজনকে। কেউ ঘুণাক্ষরেও বোঝেনি সম্পর্কের চিড় বড় ফাটলে পরিণত হয়েছে।
নীলাঞ্জনার স্যোশাল মিডিয়ায় দেওয়ালে এখনও মন খারাপের মেঘ জমে আছে। কোনও এক দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে শুরু হওয়া প্রেমের গল্পটা কি এবার পুজোতেই শেষ হয়ে যাবে? কী ভাবছেন যিশু – নীলাঞ্জনা, জানতে চায় অনুরাগীরা।