বিগত ৭ বছরে প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রমাণ নেই। নিট (NEET) পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে বর্তমানে তা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বিরোধীরা চিৎকার, চেঁচামেচি করলে কোনো মিথ্যে সত্যি হয়ে যাবে না। সংসদে বাদল অধিবেশনের (Parliament Session) প্রথম দিনেই মিথ্যাচার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan)। তবে নিট কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মোদি সরকারের জুমলাবাজিকে কাঠগড়ায় তুলে বিজেপি (BJP) সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে অধিবেশনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবরা (Akhilesh Yadav)। বিরোধীদের মতে, শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থীদের প্রতিই অবিচার করা হবে। পাশাপাশি নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে সরব তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এ তো ঘোড়ায় হাসবে!! সারা দুনিয়া জানে প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারি; আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে বলছেন, হয়নি!! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানেন তিনি কী বলছেন”?
এ তো ঘোড়ায় হাসবে!!
সারা দুনিয়া জানে প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারি; আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে বলছেন, হয়নি!!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানেন তিনি কী বলছেন?? pic.twitter.com/Mf4urcAFNt— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 22, 2024
তবে ক্ষমতাবলে নিট ইস্যুতে বিরোধীদের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর সাফাই, শেষ ৭ বছরে কোনও পেপার লিকের ঘটনা ঘটেনি। পরিবর্তে ২৪০টির বেশি পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে নিয়েছে এনটিএ। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে দেশের পরীক্ষার সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তার বিরোধিতা করা উচিত। চিৎকার করে মিথ্যে কথা বললেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না। আর শিক্ষামন্ত্রীর এমন মিথ্যাচার শুনে অধিবেশনে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। শিক্ষামন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন বিরোধীরা এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে পদত্যাগের দাবিতে সরব হন। এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, যাদের টাকা আছে শিক্ষা শুধুমাত্র তাঁদের এমন একটা ধারণা তৈরি হয়ে গেছে দেশে। বিরোধী দল তাই মনে করে। এই অবস্থার দ্রুত অবসান দরকার।
অন্যদিকে অখিলেশের অভিযোগ, নিট কেলেঙ্কারির যে ছবি সামনে এসেছে শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অবিচার করা হয়। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা সংসদ অধিবেশনে সরকারকে চেপে ধরবে, রবিবারই সর্বদলীয় বৈঠকে এই আভাস মিলেছিল। আর এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধানের ভাষণের সময় সেই পূর্বাভাস সত্যি হল। উল্লেখ্য, রবিবারই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে নিট কেলেঙ্কারি ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্রকে বিঁধেছিলেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে গিয়েছিলেন অখিলেশ যাদবও। রবিবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকেই সংসদে ঝড় ওঠার পূর্বাভাস মিলেছিল। সোমবার বাদল অধিবেশনের শুরুতেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব বিরোধীরা।