বৃষ্টি ভেজা রবির সকালেই থিকথিক ভিড় ছিল ধর্মতলায়। লোকসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর ফের একুশে জুলাইয়ে সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে ছিলেন ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। শুক্র-শনিবার থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছিলেন দূর-দূরান্তের তৃণমূল কর্মীরা। হাওড়া স্টেশন থেকে শিয়ালদহ স্টেশন, সর্বত্রই হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এদিকে কলকাতাতেও চার জায়গা থেকে চারটি বড় মিছিল আসে ধর্মতলার শহিদ দিবসের মঞ্চে।প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সভা চলে।
এদিনের সভা শেষে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাফ করা হয় ধর্মতলা চত্বর।রবিবারএকুশে জুলাই উপলক্ষে লাখো লাখো জনতা ভিড় জমিয়েছিলেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। চলেছে দেদার খাওয়াদাওয়া। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সভা শেষে দেখা যায় রাস্তা-ঘাটে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। প্রতিবারের মতো এবারও সমাবেশের পর সেই জঞ্জাল সাফাইয়ে নামে কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা। শুধুমাত্র ধর্মতলা ও সংলগ্ন এলাকার জন্য প্রায় ১২০০ সাফাই কর্মী নামানো হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই আগের চেহারা ফিরে পায় শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা।
প্রসঙ্গত, যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। ২০২৪ সালের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত নিজেদের দলের নেতাদের শুধরে নেওয়ার বার্তা দিলেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে তাঁরা যাতে আত্মতুষ্ট না হয়ে পড়েন, সেটাও বললেন। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে যেখানে-যেখানে তৃণমূলের খারাপ ফল হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।






































































































































