শুধুমাত্র বিরোধীরা নয়, এবার নিজের শরিকদেরই সমালোচনার মুখে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে কানওয়ার যাত্রা নিয়ে চলতি বিতর্কে ফের মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) তথা বিজেপির। যদিও তাতেও যোগী সরকারের সেই ডোন্ট কেয়ার মনোভাবই বজায় রয়েছে। নতুন করে বারাণসীতে প্রশাসন এই যাত্রা চলাকালীন মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করল।

হিন্দু ধর্মের কানওয়ার যাত্রা (Kanwar Yatra) চলাকালীন মহাদেব দর্শনার্থীরা যাতে ‘বিভ্রান্ত’ না হন তার জন্য যাত্রাপথের পাশের সব রকম দোকানের মালিকের নাম বড়বড় স্পষ্ট করে দোকানের সামনে লিখতে হবে বলে প্রথম নির্দেশ জারি করে মুজফ্ফরনগর ও সাহারানপুরের প্রশাসন। গোটা দেশে সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনার পরে তা নিয়ন্ত্রণ করার বদলে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সেই নির্দেশ ছড়িয়ে দেন যোগী আদিত্যনাথ। আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের তীর্থযাত্রীদের কাছে আলাদাভাবে তুলে ধরাই ছিল যোগী প্রশাসনের উদ্দেশ্য। এমনকি সব তরফের সমালোচনার পরে রবিবার থেকে শ্রাবণ মাসে সব মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বারাণসী প্রশাসন।

শুক্রবার থেকে কানওয়ার যাত্রার পথে সব দোকানি নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন। এবার সমালোচনায় সরব খোদ এনডিএ (NDA) শরিক জেডিইউ (JDU)। দলের জাতীয় মুখপাত্র কেসি ত্যাগীর দাবি, “বিহারে এর থেকেও বড় করে কানওয়ার যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কখনও এধরনের কোনও নিয়ম জারি করতে হয়নি। বিজেপির সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনার বিরোধী এই নির্দেশ।”

তবে শুধু বিহারের জেডিইউ নয়, এই নির্দেশের পর সমালোচনায় সরব উত্তরপ্রদেশের এনডিএ জোট শরিক মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরির (Jayant Chaudhary) নেতৃত্বাধীন আরএলডি (RLD)। তাঁদের দাবি, দোকানে নাম ও ধর্মের উল্লেখ থাকলে তা সাম্প্রদায়িক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের প্রকাশ। এই নির্দেশ প্রশাসনের এখনই বদলানো উচিত কারণ এই নির্দেশ সংবিধানবিরোধী।










































































































































