তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণে শহিদ দিবসের (Sahid Dibas) অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসেছিলেন। রবিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েন সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এদিন শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথম থেকেই দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ অখিলেশ। তিনি বলেন, জননেত্রী কেমন হওয়া উচিত তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই শেখা উচিত। ২১-এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরালেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। রবিবার বিমান বন্দর থেকে সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যান অখিলেশ। সেখান থেকেই দলনেত্রীর সঙ্গে একই গাড়িতে পৌঁছান ২১-এর মঞ্চে। কালীঘাট থেকে ধর্মতলার এই যাত্রাপথে কর্মী সমর্থকদের প্রতি দলনেত্রীর যে ভালোবাসা স্নেহ লক্ষ্য করেছেন তাতে তিনি আপ্লুত। তাই শহিদ তর্পণের মঞ্চে শুরু থেকেই সেই সুর শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। কর্মীরা যেভাবে দলকে ভালোবেসেছে, দলনেত্রীও তার কয়েকগুণ বেশি ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের। দলও সর্বাত্মকভাবে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের পাশে থেকেছে।
অখিলেশ যাদব আরও বলেন, দূর পর্যন্ত দিদির দলের কর্মীরা রয়েছেন। দিদিকে ধন্যবাদ যে, এই কর্মসূচিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দিদি যেভাবে খুশি হয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন, এই যে নেতা এবং কর্মীদের সম্পর্ক এটাই দলকে মজবুত করে। যে কর্মীরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করছি আজ। সব দলের ভাগ্যে এ রকম কর্মী মেলে না, যাঁরা প্রাণ দিতে পারেন। দিদির কাছে এ রকম কর্মী রয়েছেন। কর্মীরাই দলের ভিত্তি। যিনি যত বড়ই নেতা হন, তিনি আসলে কর্মীই থাকেন। কর্মীরা ছোট নন, তাঁরাই বড়। তবে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় নেত্রী, তাঁর আসল সম্পদ কী? সেটাই এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারই ব্যাখ্যা দিলেন অখিলেশ। তাঁর কথায়, দিদির কাছে এমন কর্মী আছেন, যাঁরা প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। এমন সমর্থক থাকা যে কোনও দলের কাছেই ভাগ্যের ব্যাপার। দিদি কীভাবে শহিদদের মনে রেখেছেন, তা এই সভা থেকেই প্রমাণিত হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে অখিলেশ বলেন, এর আগে নির্বাচনে হাঁটতে পারছিলেন না। পায়ে প্লাস্টার নিয়েই কর্মীদের জন্য লড়েছিলেন। তখন দুটো লাইন বলেছিলাম, এক জন একা লড়ে চলেছেন, জিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। কম নেতা রয়েছেন, যাঁরা প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করেন এ ভাবে। তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ কর্মী। এক বার রাজনৈতিক কর্মীরা জোটবদ্ধ হলে, সারা জীবন ওই দলের জন্য লড়াই করেন। এই কর্মীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত লড়াই করে চলেছেন, এমন কর্মীদের কুর্নিশ জানাই।