একদিকে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের খানিকটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকার বিভিন্ন উপায়ে এগোনোর চেষ্টা করছে, তখনই ‘মুনাফা’র লোভে ফের রাজ্যের মানুষকে বিপাকে ফেলতে চলেছে আলু ব্যবসায়ীরা। রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালে জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি। ফলে একদিকে যেমন বাজারে আলুর যোগানে ঘাটতি পড়তে চলেছে, তেমনই দাম ফের ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

৯ জুলাই বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আলু ব্যবসায়ীদের জন্য তিনি সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। হিমঘরে নির্দিষ্ট পরিমাণ আলু রেখে বাকি আলু বাজারের চাহিদা মেটাতে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি, যাতে রাজ্যের মানুষের চাহিদা পূরণ হয়। সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, “কিছু লোক আছে বেশি মুনাফার লোভ। এর ফলে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করা হয়। এসব নানা রকম চক্র কাজ করে। এসব চক্র চোখে দেখা যায় না।”

এরপরেই বাজারে বাজারে রাজ্যের টাস্কফোর্স দাম নিয়ন্ত্রণে টহলদারি চালাতে শুরু করে। এমনকি টাস্কফোর্স চলে গেলে যে সব জায়গায় দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আসে, সেখানে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। সেই সঙ্গে রাজ্যের চাহিদা মেটাতে ভিনরাজ্যে আলু রফতানির উপর জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। একদিকে যখন রাজ্যের যাবতীয় চেষ্টা সত্ত্বেও রাজ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসছিল না, সেই পরিস্থিতিতে যোগান স্বাভাবিক রাখতে রফতানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাজ্যের এই নির্দেশের জেরে শনিবার বৈঠক করে ধর্মঘটের পথে যান আলু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, হিমঘর থেকে তাঁরা যখন আলু বের করছেন তখন দাম ২৩ টাকা প্রতি কেজি থাকলেও বাজারে তার দাম হয়ে যাচ্ছে ৩৫ টাকা প্রতি কেজি। অন্যদিকে আলু চাষের মরশুমে বৃষ্টির কারণে চাষের ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাইরের রাজ্যে আলু রফতানি না করলে তাঁদের লাভ থাকবে না বলে দাবি করেন তাঁরা। যদিও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রেখেছেন বলেও জানান তাঁরা।










































































































































