শহর কলকাতায় (Kolkata) বড়সড় প্রতারণা (Fraud) চক্রের পর্দাফাঁস! ইতিমধ্যে রাজারহাটের (Rajarhat) একটি বহুতল বাড়িতে হানা দিয়ে ৪ মহিলা-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার (Arrest) করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ (Bidhannagar Police Commissionerate)। অভিযোগ, সম্প্রতি বিজ্ঞাপন দেখে ওই প্রতারণা চক্রের শিকার হন বহু মানুষ। এক ফোনে বন্ধুত্বের মাধ্যমে প্রতারণা শুরু, কিছুদিনের মধ্যেই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে শুরু ভিডিও কল। আর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। আর সেই অভিযোগ পেতেই একেবারে তৎপর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল অবধি ম্যারাথন তল্লাশির পরই রাজারহাটের (Rajarhat) বসিনা মানিকতলার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যে কিছু ক্যামেরা, ল্যাপটপ-সহ নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে রমরমিয়ে চলছিল ওই প্রতারণা চক্র। রাজারহাটের একটি চারতলা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ডেটিং অ্যাপের মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। সেই সূত্রে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসতিনেক আগে রাজারহাটের বসিনা মানিকতলায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি ভাড়া নিয়ে শুরু হয় প্রতারণা। অভিযোগ, ওই বাড়ির নিচের তলার একটি আলাদা ঘর থেকে ভিডিও কল করা হত। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় ছিল থাকার ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, প্রায়শই এই বাড়িতে কমবয়সি তরুণীদের আসাযাওয়া লেগেই থাকত। আসত বিভিন্ন পার্সেলও। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজারহাটের ওই বহুতলটিতে আগে একটি কারখানা ছিল। মাস তিনেক আগে এই সংস্থা সেটি ভাড়া নেয়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।



তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন তল্লাশি চালিয়ে কমপক্ষে ৩০টির মতো সিম বক্স, বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড, এটিএম কার্ড, পাস বুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক মোবাইল ফোনও। সেগুলিও ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একাধিক গোপন ক্যামেরাও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ফোনে বন্ধুত্ব তৈরির পর ভিডিওকলে অশ্লীল ছবি দেখানো হত। পরে সেই রেকর্ডিং দেখিয়েই ব্ল্যাকমেল করা হত। কিন্তু কীভাবে এই ডেটিং অ্যাপ তৈরি হল, এর চক্রের আর কেউ জড়িয়ে আছে কী না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।











































































































































