উদাহরণ হয়ত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মৃত্যু পরবর্তী ঘটনা। ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতির পরিবর্তন করল মধ্যপ্রদেশ সরকার (Madhya Pradesh Government)। কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী শুধু নন, ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন বাবা-মাও। তবে, এই নিয়ম শুধু মধ্যপ্রদেশের পুলিশ বিভাগের জন্যই প্রযোজ্য হবে। কিছু দিন আগে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা-মা অভিযোগ করেছিলেন, কীর্তি চক্র’ নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন তাঁদের পুত্রবধূ। ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতি বদলের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই বিতর্কের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব।
কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর (Poice) মৃত্যু হলে মধ্যপ্রদেশে সরকারি (Madhya Pradesh Government) তরফে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য পায় পরিবার। এত দিন বিবাহিত পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে সেই অর্থ পেতেন শুধু তাঁর স্ত্রী। নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, মৃত্যুর পরের আর্থিক সাহায্য স্ত্রী এবং মৃত পুলিশকর্মীর বাবা-মায়ের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ হবে। অর্থাৎ দুপক্ষ ৫০ লক্ষ টাকা করে পাবে।
ক্যাপ্টেন অংশুমান সেনার মেডিক্যাল (Medical) সার্ভিসের অফিসার ছিলেন। ঠিক একবছর আগে ২০২৩-এর ১৯ জুলাই সিয়াচেনে সেনাশিবিরের গোলাবারুদ রাখার ঘরে আগুন ধরে। অন্যদের প্রাণ আর জীবদায়ী চিকিৎসা সরঞ্জাম বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান অংশুমান। এবছর ৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ক্যাপ্টেনের স্ত্রী এবং মায়ের হাতে মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ তুলে দেন। এর কয়েকদিন পরেই ক্যাপ্টেনের বাবা-মা অভিযোগ করেন, ‘কীর্তি চক্র’ নিজের সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন তাঁদের পুত্রবধূ। পুত্রের ছবি ছাড়া কিছুই তাঁদের কাছে নেই বলে জানান তাঁরা। ভারতীয় সেনায় ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতিতে বদল আনা উচিত বলে মনে করেন সন্তানহারা দম্পতি। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ঘোষণা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।











































































































































