লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর গত বুধবার সায়েন্স সিটিতে দলের পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বলেছিলেন, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ নীতির সঙ্গে তিনি সহমত নন৷ কারণ, এ রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি। তাই দলের সংখ্যালঘু মোর্চারও কোনও প্রয়োজন আছে তিনি মনে করেন না।
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এমন মন্তব্যকে দল সমর্থন করে না। ওই বক্তব্য একান্ত শুভেন্দুর ব্যক্তিগত। এবার বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি৷ শুভেন্দুর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তাঁর কটাক্ষ, “শুভেন্দু হয়তো বিজেপিতে নতুন বলেই এমন মন্তব্য করেছেন৷”
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান সিদ্দিকি একটি সাক্ষাকারে বলেন, “আমার মনে হয় শুভেন্দু অধিকারী ভুল করেই এরকম মন্তব্য করেছেন৷ তাছাড়া শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির পুরোন নেতা নন, মাটির সঙ্গেও তাঁর খুব একটা যোগাযোগ নেই৷ তার উপর উনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন৷৷ মানুষ যেখান থেকে আসে, তার পরিচয়ে সেটাই ফুটে ওঠে৷”
বিজেপির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “যাঁরা আমাদের পাশে থাকবে, আমরা তাঁদের পাশে থাকব৷ সংখ্যালঘু মোর্চার কোনও প্রয়োজন নেই৷” পরে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সব কা বিকাশ, সবকা বিকাশের নীতিতে তিনি অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন বলেও দাবি করেছিলেন শুভেন্দু৷
কিন্তু খোদ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্লোগান তিনি যেভাবে খারিজ করার নিদান দেন, তাতে বিজেপির অন্দরেও জোর বিতর্ক শুরু হয়৷ এমন কি, সর্বভারতীয় স্তরেও শুভেন্দুর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়৷
শুভেন্দুর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে জামাল সিদ্দিকি বলেন, “আমার মনে হয় সবকা সাথ, সবকা বিকাশের নীতি বিজেপির আত্মা৷ শরীর থেকে আত্মাকে বিচ্ছিন্ন করলে বিজেপি দলটাই থাকবে না বলে আমার মত৷ বিজেপির উদ্দেশ্যে হল মানুষের সেবা করা, ক্ষমতা দখল নয়৷ ক্ষমতায় থাকলে আরও ভাল করে মানুষের সেবা করা যায়৷ প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই বলেছেন, যাঁরা আমাদের ভোট দেন না তাঁদের জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে৷”
আরও পড়ুন: WBSEDCL-এর চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক: সিদ্ধান্তে খুশি বাংলা পক্ষ