সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh)। ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী-সহ কমপক্ষে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shekh Hasina)। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় (Indian) ও ভারতের পড়ুয়ারা প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরবেন না। ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। যেকোনও সাহায্যের জন্য ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।“ নির্দেশিকায় ভারতীয়দের জন্য আপৎকালীন ফোন নম্বরও চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং খুলনার উপ-হাই কমিশনের ফোন বা হোয়াট্সঅ্যাপ করার পরামর্শ দিয়েছে মোদি সরকার।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। আন্দোলনে সামিল শয়ে শয়ে পড়ুয়া। বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শাসকদলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। এই উত্তাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের জন্য উদ্বিগ্ন দিল্লি। সেদেশে থাকা ভারতীয়দের বাড়ির বাইরে না বেরনোর সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে (Bangladesh) কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের উপর শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও হামলা চালিয়েছে৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হস্টেল ছাড়ছেন পড়ুয়ারা। বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আস্থা রাখতে আবেদন করেন তিনি।