সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের (Quota cancellation movement) দাবিতে এই মুহূর্তে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)।আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত একাধিক। পদ্মাপাড়ের এই অস্থির সময়ে শান্তির বার্তা দিলেন গায়ক সুরকার কবীর সুমন (Kabir Suman)। শিল্পীর কাছে বাংলাদেশ বরাবরই বড় আবেগের এক জায়গা। সেখানকার এই অস্থির সময়ে সকলকে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করলেন সুমন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পী লেখেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয় আসয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তা ভুলে থাকতেও পারছি না।বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হল এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তাও তো ঠিকমতো জানি না। তাও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন।’ দীর্ঘ পোষ্টের একদম শেষের দিকে সংগীত শিল্পী মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচানোর অনুরোধ করেছেন সকলকে। ফেসবুকে নিজের লেখার শেষ স্তবকে বাংলা গানের অন্যতম কিংবদন্তির উল্লেখ — ‘বাংলা ভাষা যে তোমাকে আমাকে/ সকলকে দেয় এক ক’রে/ বাংলাদেশের সবাই বাঁচুক/ নি:শ্বাস নিক প্রাণ ভ’রে।’ গত সোমবার থেকে যে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিতেও সেই একই অবস্থা বাংলাদেশে। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানসন্ততিদের সংরক্ষণ তুলে দিত হবে। বিক্ষোভের আঁচ এতটাই ছড়িয়েছে যে ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।