কুলতলিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সাদ্দামের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত, হেফাজতে ধৃত সিপিআইএম নেতাও

0
1

কুলতলিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল বারুইপুর মহকুমা আদালত (Court)। যদিও অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারকে সমাজসেবী বলে আদালতে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সেই সব দাবি উড়িয়ে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে সাদ্দামের সঙ্গে ধৃত CPIM নেতা মান্নানের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কুলতলিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারকে বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বানীরধল এলাকায় সিপিআইএম নেতার মাছের ভেড়ির আলাঘর থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও বেপাত্তা সাদ্দামের ভাই সাহারুল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদ্দাম ও মান্নানকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ২ জনেরই ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের চান সরকারি আইনজীবী। কারণ, জয়নগর ও কুলতলি থানায় ২জনের নামেই একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে গ্রেফতারের সময় কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হলেও, গত সোমবার ঘটনার সময় পুলিশের (Police) দিকে যে বন্দুক দেখানো হয়েছিল তার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বলে দাবি করেন সরকারি আইনজীবী।

পাল্টা সাদ্দামের আইনজীবীর দাবি করেন, সাদ্দামের কাছে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র নেই। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টিকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। জামিনের আবেদন জানান মান্নানের আইনজীবীও। তাঁর দাবি, “আমার মক্কেলের ফিশারির আশপাশে কেউ যদি থাকেন, তাতে আমার মক্কেলের কী করার আছে? আমার মক্কেলকে কেন গ্রেফতার করা হল? তিনি এই মামলায় জড়িত নন।“

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে করে পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, কাটা চুলের ব্যবসা করতেন সাদ্দাম। সেই চুল বিক্রির জন্য ১২ লক্ষ টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন নদিয়ার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু সেই চুল সরবরাহ করেননি তিনি। যা নিয়ে আগেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কুলতলি থানায়। সেই সূত্র ধরে গত ১৫ দিন যাবৎ সাদ্দামকে খুঁজছিল পুলিশ। খোঁজ পেয়ে ১৫ জুলাই পুলিশ অভিযান চালায়। সাদ্দামকে ধরতে গেলে এলাকার বহু মহিলা-পুরুষ বেরিয়ে এসে তাদের ঘিরে ধরে। সইরুল নামে এক যুবক বন্দুক উঁচিয়ে দেসাদ্দামকে টেনে নিয়ে চলে যায়।