ফের ট্রাম্পকে প্রাণে মারার ছক! দলীয় সম্মেলনে গ্রেফতার বন্দুকবাজ, পুলিশের গুলিতে মৃত আরও এক

0
3

দিন কয়েক আগেই একেবারে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন। প্রকাশ্য সমাবেশে তাঁকে লক্ষ্য করে চলেছিল গুলি। তবে ডান কান ছুঁয়ে সেই গুলি বেরিয়ে যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ট্রাম্পের (Donald Trump) সভার সামনে হাজির আরেক বন্দুকবাজ। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! সূত্রের খবর, রিপাবলিকান পার্টির (Republican Party) ন্যাশনাল কনভেনশনের (National Convention) সামনে থেকে ওই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতের কাছে একে-৪৭ বন্দুক ছিল বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর। তাঁর কাছে দুটি ছুরি ছিল। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট (President) পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সূত্রের খবর, মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে, ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টি থেকে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচিত হন। আর সেই কনভেনশনের অনুষ্ঠানস্থল থেকেই ২১ বছরের অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এক গৃহহীন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে দুই হাতে দুটি ছুরি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এক ব্যক্তির দিকে ছুরি নিয়ে তেড়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। এরপরই নিরাপত্তার কথা ভেবেই পুলিশ গুলি চালাতেই মৃত্যু হয় ওই কৃষ্ণাঙ্গের। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম স্যামুয়েল সার্প (৪৩)।

তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, ওই যুবকের পোশাক দেখেই নিরাপত্তা রক্ষীদের সন্দেহ হয়। ওই ব্যক্তি মুখে স্কি মাস্ক পরে ছিলেন। সঙ্গে একটি বড় ব্যাগ ছিল। এরপর ব্যাগ তল্লাশি করতে সেখান থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মৃত স্যামুয়েলের হাতে দু’টি ছুরি রয়েছে। পুলিশের বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সে ছুড়ি ফেলেনি। বরং অপর এক ব্যক্তির উপর হামলা করতে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তবে অপর অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই, শনিবার পেনসিলভেনিয়ায় ২০ বছরের এক যুবক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটি গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে স্টেজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। ম্যাথু ক্রুকস নামক ওই যুবকের মৃত্যু হয় পুলিশের গুলিতে। তবে এই হামলার নেপথ্যে ইরানের হাত রয়েছে কি না, নিশ্চিত নয় আমেরিকা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। যদিও ইরান যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আমেরিকার গোয়েন্দারা খবর পেয়েছিলেন যে ট্রাম্পকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে ইরান। আর তার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস। কিন্তু তার পরও এড়ানো যায়নি হামলা। তবে পেনসিলভেনিয়াতে ট্রাম্পের উপর হামলা চালানো তরুণ টমাস ম্যাথুর সঙ্গে ইরানের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।