নতুন করে কোটা (Quota) সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের (Students Agitation) জেরে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। ইতিমধ্যে গণআন্দোলনের ডাক দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ‘কোটা’ মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ইতিমধ্যে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, শাহজাহাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন পড়ুয়াদের। আর এই আন্দোলন চলাকালীন এবার বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র লীগ, যুব লীগ ও আওয়ামি লীগের সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা। সোমবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র লিগের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগেরই ছাত্র সংগঠন হল ছাত্রলিগ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দু’জন, চট্টগ্রামের তিনজন ও রংপুরের একজন রয়েছেন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ দাবি করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবারই খুলনা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই বিক্ষোভ দেখানো হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানেও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে হামলা হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন, আদালতের চুড়ান্ত রায় মেনেই তাঁরা সবকিছু করবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত। কোটা আন্দোলনকারীদের দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং সংবিধান সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। সেকারণেই তাঁরা এমন করছেন।