ঝুলে রইলো ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভবিষ্যৎ। সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল নিয়োগ মামলার শুনানি। ইনকাম ট্যাক্সের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার কারণে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এর পাশাপাশি সব পক্ষের রিপোর্ট জমা পড়েনি বলেও আদালতের পর্যবেক্ষণ। তাই পরবর্তী শুনানির আগে যদি কোনও পক্ষ নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করতে চায় বা কোনও তথ্য যুক্ত করতে চায় সেক্ষেত্রে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সব ক্ষেত্রেই বক্তব্য পাঁচ পাতার মধ্যে জানাতে হবে।
নিয়োগ মামলায় (Recruient Case) প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রায়ের উপর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, যেহেতু মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল তাই আরও তিন সপ্তাহের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ বহাল রইল। ৬ আগস্ট পর্যন্ত আপাতত কারও চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শীর্ষ আদালতে রাজ্য হলফনামা দিতে চায়। তখন ডিভিশন বেঞ্চে তরফে জানানো হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে দিতে পারে তারপরে আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চাকরি বাতিলের মামলায় সবার বক্তব্য শোনা হবে। পরবর্তী শুনানিতে রাজ্য, এসএসসি, মূল মামলকারী, চাকরিহারা এবং সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনবে আদালত।