আম্বানিদের নতুন বৌমার সাজ ঘিরে নেট দুনিয়ায় তুমুল আলোচনা। বিয়ে থেকে মঙ্গল উৎসব পর্যন্ত প্রত্যেকদিন রাধিকা মার্চেন্টের (Radhika Merchent) পোশাক আলাদা করে নজর কেড়েছে। ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ কর্তার ছোট ছেলের জৌলুসের বিয়েতে বিশেষ একটি লেহেঙ্গা নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। কারণ বাঙালি শিল্পী জয়শ্রী বর্মনের (Jayashree Barman) মুন্সিয়ানায় সেই পোশাকে আঁকা রয়েছে রাধিকা আর অনন্ত আম্বানির প্রেমের কাহিনী(Radhika Merchent Anant Ambani Love story) । এই পোশাকেই বিয়ের পরদিন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামীদের আশীর্বাদ নিতে বসেছিলেন নীতা আম্বানির ছোট বৌমা। যে ড্রেস নিয়ে এত আলোচনা তার পিছনে দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প বললেন শিল্পী জয়শ্রী।

অনন্ত আম্বানি আর রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের (Anant Ambani Radhika Merchent wedding)অনুষ্ঠান ঘিরে গোটা দেশ জুড়ে একটা আলাদা উন্মাদনার দেখা মিলেছিল। মিডিয়ার লাইম লাইটে ১২ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত শুধুই ফোকাসে ছিল আম্বানি পরিবার। নববধূর লেহেঙ্গা তৈরির জন্য এক মাসের কম সময় পেয়েছিলেন বাঙালি শিল্পী। তাই দিনে প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। জয়শ্রী জানিয়েছেন যে ইটালিয়ান ক্যানভাসে মোট ১২টা প্লেট আঁকা হয়েছে। তার পরে চলেছে সেলাই পর্ব। এ ছাড়াও তিনি লেহঙ্গার সঙ্গে পরার ওড়নার পাড় এঁকেছেন, বাদ পড়েনি, বেল্টের সজ্জাও। মাত্র এক মাসে এই গোটা কাজ সম্পূর্ণ করতে কখনও কখনও ১৬ ঘণ্টা একটানা পরিশ্রম করে যেতে হয়েছে জয়শ্রীকে। শিল্পী জানাচ্ছেন বিয়ের মাসখানেক আগে রাধিকার স্টাইলিস্ট রিয়া কাপুর প্রথমে যোগাযোগ করেন। তার পরে ভিডিয়ো বৈঠক হয়। জয়শ্রী ছবি আঁকার পরে লেহঙ্গা তৈরির বাকি কাজ করেছেন পোশাকশিল্পী আবু জানি ও সন্দীপ খোসলা। প্রথমে এই লেহেঙ্গা পরেই বিয়ে করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে আশীর্বাদে এই পোশাক বেছে নেন রাধিকা। অসাধারণ কাজ করে শুধু যে পারিশ্রমিক পেয়েছেন তাই নয়, জয়শ্রী বলছেন তাঁর শিল্প সত্তার যথাযোগ্য সম্মানও দিয়েছেন আম্বানি পরিবার।

জয়শ্রী এই লেহঙ্গার নাম দিয়েছেন ‘পরিণয়’।তাই আঁকাও হয়েছে শুভ পরিণয়ের গল্প। নববধূ কী চাইছেন, তা নিয়ে বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়ে যাওয়ায় অনন্ত – রাধিকার প্রেমের কাহিনী হাতের কাজের ফুটিয়ে তুলতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি শিল্পীর। “কোকিলাবেন ও নীতা আগে আমার কাজ কিনেছেন। যা রাধিকা দেখেছেন জামনগরের বাড়িতে। ফলে ভিতরের গল্পও কিছুটা জানা ছিল। তাই কাজ করতে খানিকটা সুবিধা হয়েছে,’’ জানিয়েছেন জয়শ্রী। শিল্পী শান্তিনিকেতনের কলাভবন থেকে লেখাপড়া শেষ করে দিল্লিতে তাঁর পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করেছেন। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর গুণের কদর। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। তাই শুধু পোশাকে নয় সাজের ব্যাপারেও রাধিকা জয়শ্রীর থেকেই পরামর্শ নিয়েছিলেন। এখন গোটা বিষয়টাই সকলের এত পছন্দের হয়ে ওঠায় উচ্ছ্বসিত শিল্পী নিজেও।










































































































































