ভয় ধরাচ্ছে চাঁদিপুরা ভাইরাস, গুজরাটে ৫ দিনে ৬ শিশুর মৃত্যু

0
3

ভয় ধরাচ্ছে চাঁদিপুরা ভাইরাস। ছোঁয়াচে না হলেও, আক্রান্ত হওয়ায় ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এই ভাইরাস মারাত্মক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ৫ দিনে এই ভাইরাসের প্রকোপে গুজরাটে মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। এর পরই ভাইরাসের রুখতে কার্যত ‘অ্যালার্ট মোডে’ জারি করেছে গুজরাটের (Gujrat) স্বাস্থ্য দফতর (Helth Department)।কোভিডের প্রকোপ কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় নয়া আতঙ্কের আবির্ভাব। ১৯৬৫ সালে প্রথমবার এই মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরায় এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। সেই গ্রামের নাম অনুসারে ভাইরাসের নামকরণ করা হয় চাঁদিপুরা ভাইরাস। গুজরাট সরকারের তরফে খবর, শুরুতে মাত্র ৪ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সংখ্যাটা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষিকেশ প্যাটেল বলেন, গত ৫ দিনে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরও ১২ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই এই মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। রাজস্থানের ২ জন ও মধ্যপ্রদেশের ১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর।

বিষয়টি নিয়ে সতর্ক গুজরাট প্রশাসন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “চাঁদিপুরা ভাইরাস ছোঁয়াচে নয়। তবে কড়া নজরদারির প্রয়োজন আছে। ইতিমধ্যেই ৪৪৮৭টি বাড়িতে ১৮,৬৪৬ জনকে পরীক্ষা করাবো হয়েছে। এই ভাইরাস যাতে না ছড়ায় তার জন্য তৎপর স্বাস্থ্য বিভাগ।“

চাঁদিপুরা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ কী
• জ্বর, ফ্লু। সঙ্গে তীব্র মস্তিষ্কের প্রদাহ
• অল্প সময়ের মধ্যেই জ্বর বেড়ে যায়।
• শুরু হয় খিঁচুনি। সঙ্গে ডায়রিয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ ও বমি।
• শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের লক্ষণ প্রবল জ্বর, খিঁচুনি, মাথাব্যথা ও বমি, ডায়রিয়া

গুজরাট (Gujrat) স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, চাঁদিপুর ভাইরাস ছোঁয়াচে নয়। তবে সকলের উচিত এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক হওয়া।