আদালতের অনুমতিতে রাজভবনের সামনে রবিবার ধরনায় বসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, তৃণমূলের কর্মসূচিকে নকল করে এই ধরনা। শুভেন্দু প্রথম আদালতে গিয়েছিলেন রাজ ভবনের সামনে ধরনায় বসবেন বলে। আদালত তখন কোনওভাবেই তাকে এন্টারটেইন করেনি।আসলে উপ নির্বাচনেও তাদের ভরাডুবি হয়েছে। এরপর দলীয় কর্মীদের কাছে বিজেপি নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে ৷ সে সব থেকেই নজর ঘোরাতে এইসব নাটকের কাণ্ডকারখানা করছেন।
বরং কুণালের কটাক্ষ, আজকের ধরনা অবস্থানে কজন ছিল? দেড়শো জন সেন্ট্রাল ফোর্স আর বাকি দেড়শ জন কর্মী সমর্থক। সেখানে আবার দিলীপ নেই, সুকান্ত নেই। একটা সুপার ফ্লপ কর্মসূচি। আসলে এটা বিজেপির একটি গোষ্ঠীর কর্মসূচি! ওর একটা ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি করে উঠতে পারে না। তারা আশা করেন কী করে মানুষ তাদের প্রতি আস্থা রাখবেন? ওদের নিজেদের মধ্যে কারও প্রতি আস্থা নেই। এটা একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সার্কাস চলছে।
বিজেপি ঘোষণা করেছে একুশে জুলাই গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এগুলো অপরিণত ঘোষণা।১৯৯৩-এর একুশে জুলাই একটি রক্তাক্ত দিন। তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযান হয়েছিল। সেখানে সিপিএম ক্যাডার এবং পুলিশ গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা করেছিল। একুশে জুলাই দিনটা বাংলা এবং দেশের রাজনীতির একটি দিক নির্দেশ করে। এটা দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালন করে আসছেন। শহীদ তর্পণের পাশাপাশি এই দিনটির গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে।কেউ কেউ এই দিনটাকে নিয়ে সস্তা প্রচারের চেষ্টা করে। বিজেপিও সেই পথেই হাঁটতে চাইছে।এদিন নবান্ন অভিযান করবেন বলে ধরনা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন। আর তাকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বললেন, ভোট দিয়ে জিততে পারছে না অথচ মনের বাসনা নবান্ন যাওয়া। চারটি উপনির্বাচনে গোহারা হেরেছে। শুধু নজর ঘোরাতে মুখে বড় বড় কথা।
তার কটাক্ষ, গতকাল যে ফলাফল বেরিয়েছে, তাতে লজ্জা হয়নি।মাঝে মধ্যে কোনও কোনও দল জেগে ওঠে। ২১ জুলাই মমতার সৈনিকদের বলিদানের দিন। সিপিএম কলকাতার বুকে গণহত্যা করেছিল। মমতা দেখিয়েছিলেন, কীভাবে শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হয়। ওই দিনটা বাংলা এবং দেশের রাজনীতির দিক নির্দেশ করে। সেটাকে নকল করে, প্রচারে থাকার জন্য এসব করেন অনেকে।
এমনকী, অভাব অভিযোগ জানানোর জন্য পোর্টাল খুলতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। আর তাদের এই উদ্যোগকে খোঁচা দিয়ে কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, সবার প্রথমে ওই পোর্টালে নাম লেখাবেন দিলীপ ঘোষ। উনি অভিযোগ করবেন, মেদনীপুরে নিজের জায়গা তৈরি করার পর আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুরে। আর তারপর অন্তর্ঘাত করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।। অভিযোগ করবেন অগ্নিমিত্রা পাল। দিলীপের ছেড়ে যাওয়া টিম আমাকে হারিয়ে দিয়েছে বলে। আদি বিজেপি, সেফ বেঙ্গল বিজেপি সবাই অভিযোগ জানাবে। তথাগত রায় সেখানে লিখবেন কামিনী কাঞ্চনের কথা। ওদের কেউ আবার বলবেন ইলেকশনের কয়েক লক্ষ টাকা নাকি টোটো ভাড়ায় চলে গিয়েছে, তদন্ত চাই। আদি বিজেপি বনাম তৎকাল বিজেপি, দিলীপ বিজেপি বনাম সুকান্ত বিজেপি। নানান গোষ্ঠী বিজেপিতে। এই সমস্ত গোষ্ঠীর জন্য খেউরের জায়গায় পরিণত হবে ওদের ওই পোর্টাল।






































































































































