মরশুমের প্রথম ডার্বির রং লাল-হলুদ, মোহনবাগানকে হারালো ২-১ গোলে

0
4

মরশুমের প্রথম ডার্বির রং লাল-হলুদ। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা লিগের ম্যাচে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি-মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সেই ম্যাচে সবুজ-মেরুনকে ২-১ গোলে হারালো লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুটি গোল পিভি বিষ্ণু এবং জেসিন টিকের। মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোল সূহেল ভাটের এই জয়ের ফলে কলকাতা লিগের জয়ের হ্যাটট্রিক বিনো জর্জের ছেলেদের। এদিন লাল-হলুদের তিনকাঠির নিচে দলকে ভরসা দেন দেবজিৎ মজুমদার।

মরশুমের প্রথম ডার্বি। যে ডার্বি দেখতে মুখিয়ে থাকে ইস্ট-মোহন সমর্থকরা, সেই ডার্বি দেখে হতাশ দুই দলের সমর্থকরা। প্রথমার্ধে জঘন্য ফুটবল খেলে দুই দল। চলে গোল নষ্টের খেলা। ম্যাচে এদিন মোহনবাগানের থেকে বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকে লাল-হলুদ। রোশাল, তন্ময় দাসেরা বার বার পৌঁছে যান মোহনবাগান বক্সে। সুযোগ তৈরি করেছে তারা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ।ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় সুযোগ চলে আসে ইস্টবেঙ্গল-এর সামনে। বক্সের বাইরে বল ধরে ভাল বল বাড়ান ডেভিড। বক্সে ঢুকে বিষ্ণুর শট পোস্টে ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে বেশ চাপে পড়ে বাগান ডিফেন্স। তবে এরই মধ্যে আক্রমণে ঝাপায় মোহনবাগান। তবে প্রথমার্ধে গোলের দরজা খুলতে পারেনি কোন দল।

দ্বিতিয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ। যার ফলে ম্যাচের ৫০ মিনিয়ে এগিয়ে যায় বিনো জর্জের দল। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন পিভি বিষ্ণু। সেখানে বাগানের আরও দুই ডিফেন্ডার ছিলেন। রাজ বাসফোর ও গ্লেন মার্টিন্সের মাঝখান থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করলেন বিষ্ণু। এর ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে ফের গোলের মুখ খোলে লাল-হলুদ। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলে। গোলরক্ষকের কাছ থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি সৌরভ। বল কেড়ে নেন অমন সিকে। তাঁর পাস থেকে ফাঁকায় গোল করেন জেসিন টিকে। বাকি ডিফেন্ডারদের কেউ ঠিক জায়গায় ছিলেন না। গোল খাওয়ার পর পালটা আক্রমণে ঝাঁপায় মোহনবাগান। তবে এরই মধ্যে ১০ জনে হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জোসেফ। এরপর ১০ জনের লাল-হলুদকে পেয়ে আক্রমণে ঝাপায় মোহনবাগান। যা ফলে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ১-২ গোল করে বাগান ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে গোল সূহেল ভাটের।

আরও পড়ুন- নাইট রাইডার্সে নতুন দায়িত্বে বাংলার ঝুলন , উচ্ছ্বসিত বাংলার প্রাক্তন বোলার