সীমান্তবর্তী ও মতুয়া অধ্যুষিত বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে (Bagdah Assembly By Poll) ঐতিহাসিক জয় পেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের বছরে শেষবার এই আসনটি জিতেছিল তৃণমূল। তেরো বছর পর ফের বাগদায় ফুটল ঘাসফুল। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হয় হেলেঞ্চা হাইস্কুলে। ২টি হলে ১৩ রাউন্ড করে গণনা হয়। এদিন গণনার শুরু থেকেই প্রতিটি রাউন্ডে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসের থেকে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। শেষপর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী মধুপর্ণা।
রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার লড়েই বাজিমাৎ করলেন মতুয়া ঠাকুর বাড়ির ২৫ বছরের মধুপর্ণা। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এই আসন জিততে পারেনি তৃণমূল। ফলে বাগদা উপনির্বাচনে (Bagdah Assembly By Poll) জিততে মরিয়া ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই এই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে ‘কৌশলগত’ বদলও এনেছে বাংলার শাসকদল। প্রার্থী চয়ন থেকে শুরু করে প্রচার কৌশল— লোকসভা ভোটের তুলনায় সবকিছুতেই বদল এনে মতুয়াগড়ে ঘাসের ওপর জোড়াফুল ফোটাতে পেরেছে তৃণমূল।
সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির শোচনীয় ফল হলেও বনগাঁ লোকসভায় ফের জিতেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ওই আসনে ৭৫ হাজার ৮৫২ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। তার মধ্যে বাগদা বিধানসভায় ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। সকাল থেকেই গণনাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিধানভা উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শান্তনু ঠাকুর ফল বেরোনোর আগে দাবি করেছিলেন, ‘মার্জিন কমতেও পারে বাড়তেও পারে, কিন্তু জিতবে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। লোকসভা ভোটের মাত্র এক মাসের মধ্যে পিছিয়ে থাকা সেই ব্যবধান ছাপিয়ে বড় ব্যবধানে উপনির্বাচনে জয় পেল তৃণমূল।
জয়ের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, এই জয় কাঙ্খিত ছিল। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে ভালো লাগছে। বাগদার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছেন। আমাকে আশীর্বাদ করেছে। বাগদার মানুষ ঘরের মেয়ে করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে সবুজ ঝড়, বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী