থাকতে হবে তিহারে! ইডি মামলায় জামিন পেলেও এখনই জেলমুক্তি নয় কেজরিওয়ালের

0
3

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Aravind Kejriwal)। শুক্রবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) মামলায় কেজরিওয়ালের জামিন (Interim Bail) মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। আবগারি মামলায় ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো। যদিও এই মুহূর্তে তিহার জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ, ইতিমধ্যেই সিবিআই তাঁকে জেলেই গ্রেফতার করেছে। সেই মামলায় এখনও জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করা মামলাকে আদালত এদিন বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছে।

 

 

তবে শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গত ৯০ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি তাঁর ভূমিকা পালন করে যাবেন কি না তা তাঁর উপর নির্ভর করছে। আগামী ১৭ জুলাই কেজরির পৃথক মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কেজরিওয়ালই প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হন। মাঝে নির্বাচনকালে প্রচারের জন্য তাঁকে ২১ দিনের শর্তসাপেক্ষ জামিন দেওয়া হয়। নির্বাচন শেষে ২ জুন, তিহারে ফিরে যান। এবার ১২ জুলাই ইডির মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।

তবে কেজরির অন্তর্বর্তী জামিনের শর্ত কী হবে, নিম্ন আদালতকে তা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালতের রায়ের পর আম আদমি পার্টির অন্যতম শীর্ষনেতা ও দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, “কেন্দ্র বুঝে গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ইডি মামলায় জামিন দেবে। তাই, জামিনের পরেও তিনি যাতে কারাগারে থাকেন তা নিশ্চিত করার জন্য, সিবিআই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্ৰেফতার করেছে। এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে দোষী তা প্রমাণের ভার বর্তায় সিবিআইয়ের উপর । সুতরাং, আমি মনে করি না খুব বেশি সমস্যা হবে। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন। অন্যদিকে এদিন সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী বিবেক জৈন বলেন, আমরা শীর্ষ আদালতকে বলেছিলাম, প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তির ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে। ১৭ জুলাই সিবিআই মামলায় দিল্লি হাই কোর্টকেও আমরা একই কথা বলব।