সাজাপ্রাপ্ত মাও নেতার গবেষণায় সম্মতি কারা দফতরের! অর্ণবের পাশে কুণাল

0
2

ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাইছেন এক সময়ের মেধাবী ছাত্র অর্ণব দাম (Arnab Dam)। মাঝে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত হলেও সাজাপ্রাপ্ত মাও নেতা সংশোধনাগারেই পড়াশোনা করে আজ PhD যোগ্যতা অর্জন করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের জটিলতায় অর্ণবের গবেষণার স্বপ্নের মাঝে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ এসে ঘিরে ধরেছে। এবার পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মাওবাদী অভিযোগে বন্দি অর্ণব দামকে পিএইচডি করতে দিতে হবে। ও যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ও কারামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা সহযোগিতা করবেন। অর্ণবকে হুগলি থেকে বর্ধমান জেলে সরানো হবে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের (Burdwan University)ইতিহাস বিভাগ আন্তরিক। তবে উপাচার্য অকারণ জট তৈরি করে বাধা দিচ্ছেন।’

এরপরই কারামন্ত্রী জানান, মাওবাদী ছাত্রের গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য কারা দফতরের কোনও সমস্যা নেই। সোমবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর পেয়ে যাবে বলেই দাবি অখিল গিরির (Akhil Giri)।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ জানিয়েছিলেন, যে গবেষণার জন্য অফলাইনে ৬ মাসের একটা কোর্স ওয়ার্ক হয়। সেক্ষেত্রে মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া হুগলি সংশোধনাগারের ছাত্র (অ্যাকাডেমিক স্কোর ও ইন্টারভিউয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন অর্ণব। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৬.৮৬৭০) কীভাবে এই কোর্স করবেন তা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাই কাউন্সেলিং স্থগিত রাখা হয়। কারামন্ত্রী অখিল শুক্রবার জানান, সোমবারের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর পেয়ে যাবেন। অর্ণবের গবেষণার কাজে সুবিধার জন্য বর্ধমান জেলে তাঁকে পাঠাতেও কারা দফতরের সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন অখিল। অর্ণবের গবেষণা যে আটকাবে না, আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা মতোই সবটা করা হবে। আমাদের পক্ষে কোনও সমস্যা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা, যাঁরা পড়তে চান, তাঁদের পড়তে দিতে হবে। এখানে নিরাপত্তার বিষয় জড়িত রয়েছে। অর্ণব হুগলি জেলে থাকবেন না বর্ধমান জেলে, তা দেখে নেব।”