কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপপ্রয়োগে রাজ্যের ক্ষমতাকে খর্ব করে দেখানোর যে চেষ্টা চালিয়েছিল, সেই পদক্ষেপে কেন্দ্রের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সিবিআই-এর অপপ্রয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালো তৃণমূল। দলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “সত্যই জেতে সর্বদা।”
সেই সঙ্গে দাবি করা হয়, “সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত সেই সব মানুষদের জন্য একটা শিক্ষা যাঁরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসা রাজ্যের সরকারকে নিচু দেখাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর মূল নীতিগুলির উপর কোনও আঘাত মেনে নেওয়া হবে না। এই পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ব্যবস্থায় কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থরক্ষায় অনধিকার চর্চা করতে পারে না।”
রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্যসভা উপদলনেতা সাগরিকা ঘোষ দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত এনডিএ জোটের গালে একটি বড় থাপ্পড়। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজ্যের অধিকারকে তুলে ধরেছে। সিবিআই কোনওভাবেই রাজ্যে ইচ্ছামতো প্রবেশ করে তদন্ত শুরু করতে পারে না, রাজ্যের অনুমতি ছাড়া।
তৃণমূলের রাজ্যসভার আরেক সাংসদ সুস্মিতা দেব আইনের ধারা তুলে ধরে কীভাবে সিবিআই নিজেই আইন ভেঙেছে এই মামলায়, তা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৬-এর ৬ ধারাকে লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। আমরা সংসদে অনেকবার জানিয়েছি আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সি আইন ভেঙেছে এটা প্রমাণিত। রাজ্যের দাবি বজায় রেখে এবার আদালত বিচার করবে আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্য সরকারের একতিয়ার কে অগ্রাহ্য করা যায় না জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।রাজ্য সরকারের একতিয়ার কে অগ্রাহ্য করা যায় না জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি বলেন, “রাজ্যের যে মূল দাবি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে বজায় রেখে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রেখে রাজ্যের অনুমতি নিয়ে সিবিআইকে কাজ করতে হবে তাতে সম্মতি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট”। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কেন্দ্র সরকারের উপর কড়া ধমক বলে দাবি করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি লেখেন, “বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার ও তার হাতের পুতুলদের উপর সুপ্রিম কোর্টের এই রায় একটা কড়া ধমক। যথেষ্ট হয়েছে”।